
এস.এম দেলোয়ার জাহান:
বিদ্রোহী কবিনিকেতন, বিশ্বাসঘাতকের কবি, সমানতার কবি, জাতীয় কবি, মানবিকতার কবি, ভালোবাসার কবি, শুদ্ধ মনের কবি, প্রতিভার শব্দের কবি এবং ২১শ শতাব্দীর কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সাম্প্রতিক সময়ে, যখন দেশে ধর্মগত বৈদ্যুতিকতা, যুদ্ধাপরাধ এবং ধর্মগত পূর্বাগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন বিভাজন হতে বাধা দিতে নজরুলের অসেকাল ও মানবিক কবি কাজী নজরুল ইসলামের অন্যত্র কোনো বিকল্প নেই। আজ হল সমবেতসুধা, দুঃখের কবি, বিদ্রোহী কবি, আমাদের সকলের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। প্রতিভাবান কবি নজরুল প্রতিকে হল তীব্র কমেটের মতো আঘাত করে ভারতের মানুষজনকে জাগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটিশ অভিযানে। তার কবিতা, গান, উপন্যাস এবং অন্যান্য লেখা এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে নজরুল শাস্ত্রতাবাদ, জাতিবাদ, পূর্বাগ্রহ এবং ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সাবালিগত ভারতে, স্পষ্টভাবে অবিভাজিত বাংলাদেশে, সর্বশক্তিমূলক এবং সর্বাধিক শক্তিশালী শব্দ ছিলেন। এটার ফলে, ব্রিটিশ সরকার তার বই এবং কাজগুলি জব্ত করে তাকে কারাগারে সাজায়। কারাগারেও, বিদ্রোহী নজরুল চলার বিপরীতে বিদেশি সরকারের কারাগার অত্যাচারে বিরুদ্ধে ৪০ দিনের উপবাসে প্রতিবাদ জানান। রবীন্দ্রনাথ নজরুলের বিরুদ্ধের এই বিশেষ ক্ষেত্রে, শান্তিতের কবি নজরুল নিজের সৃষ্টি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ রচিত ব্যাপক বিশ্বের পাশে নিজের বিশ্ব। এর বিশেষ সূচক রয়েছে।
আই চলি আয়রে ধূমকেতু, অন্ধারে বাধ অগ্নিসেতু”। কাজী নজরুল ইসলাম, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একজন বিদ্রোহী কবি এবং আধুনিক বাংলা গানের “বুলবুল” হিসেবে পরিচিত, বিভঙ্গী বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিশ্বে সবচেয়ে বর্ণময় চরিত্র ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। উনিশ-বিশ শতকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকে অবিভাজ্য বাংলার সংসারে তার কবিতা “চল চল চল” বাংলাদেশের যুদ্ধের গান। বিশ্বাস, ভালোবাসা, মানবতা কবির কাজকে অমর করে তুলেছে, মাসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে তার অংশগ্রহণ ইসলামী ঐতিহাসিক তত্ত্ব বাংলা সাহিত্যে কার্যকরীভাবে ব্যবহারে খুব ফলপ্রদ হয়েছে। মে ২৪, ১৯৭২ সালে, তখনকার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রয়াসে কবি তাঁর পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে আসেন।
বাংলাদেশ সরকার কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে। তার মৃত্যুপর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। এই দিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান।
সংগ্রহে : জাবির আহমেদ জিহাদ