
নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর মনিরামপুর রাজগঞ্জের মোবারকপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসায় ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গত ১৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে সুপার মোঃ আব্দুস সালামকে কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সুপার আব্দুস সালাম ইচ্ছাকৃতভাবে রেজিস্ট্রেশনের ছবি পোস্টিং না করে উপবৃত্তি প্রদানের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি কোনো জবাবদিহি করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুপার আব্দুস সালাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি দাবি করেন, রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করা হয়েছে কিন্তু ছবি পোস্টিং করা সম্ভব হয়নি কি কারনে কেন হয়েছে সেটা আমি জানিনা । শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
রাজগঞ্জ কেন্দ্রীয় হল সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ না হলে ছবি পোস্টিং করার সুযোগ নেই। তাই অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠছে এবং শিক্ষকদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আব্দুস সালাম এলাকায় একজন ‘মামলা-বাজ’ হিসেবে পরিচিত। তিনি কেন্দ্রীয় হল সুপার জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। এমনকি নিজ মাদ্রাসার সহ-শিক্ষক সুলায়মানসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধেও মামলা দায়েরের অভিযোগ রয়েছে। এসব মামলার খরচ মেটাতে শিক্ষকদের বেতন থেকেও কাটছাঁট করা হয়েছে বলে শিক্ষক সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সুপার আব্দুস সালাম মাদ্রাসার প্রায় দুই লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে ব্যক্তিগতভাবে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, সেই অর্থ দিয়েই তিনি মনিরামপুর বাজারে চারতলা আলিসান ভবন নির্মাণ করেছেন।
এই সব অনিয়মের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার শিক্ষকরা ইতোমধ্যে অভিযোগ দাখিল করেছেন মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিষাত তামান্না –এর কাছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, সুপারের ধারাবাহিক অনিয়ম, একচ্ছত্র ক্ষমতার ব্যবহার এবং মামলা-হামলার প্রবণতার কারণে মাদ্রাসার সার্বিক শিক্ষা পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
চলমান থাকবে বিস্তারিত আসছে।



