
খাগড়াছড়ি ,প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় ভয়াবহ এক গণধর্ষণের ঘটনায় চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। লতিবান এলাকার এক পাহাড়ি ত্রিপুরা তরুণী সম্প্রতি রথযাত্রা উৎসব দেখতে গিয়ে চারজন বাঙালি সেটলার কর্তৃক পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার তরুণী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রথযাত্রা চলাকালীন সময় তরুণীটি ভাইবোনছড়ায় মেলায় অংশ নিতে গিয়ে রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ি (পানছড়ি, লতিবান) ফিরতে পারেননি।
এ অবস্থায় তিনি তার কাকার বাড়িতে রাত যাপন করেন। সেখানেই রাতের অন্ধকারে চারজন সেটলার যুবক ওই বাড়িতে ঢুকে ‘অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক’ চলছে—এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে কাকার ছেলেকে বেঁধে রেখে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তরুণীটি ঘটনার ভয়াবহতায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। একপর্যায়ে পরিবারকে কিছু না জানিয়েই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার জ্ঞান ফেরে। এরপর পরিবারের জিজ্ঞাসায় তরুণীটি গোটা ঘটনার বর্ণনা দেন।
গণধর্ষণে অভিযুক্ত চার সেটলার যুবকের বিষয়ে জানা গেছে, তারা সক্রিয়ভাবে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পরিবার ও পাহাড়ি সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এ ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত সম্পর্ক এবং নারীর নিরাপত্তা ইস্যুতে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন।খাগড়াছড়ি ভাইবোনছড়ায় যে পাহাড়ি নারী ৬ জন ধর্ষক কতৃক গণধর্ষণের শিকার হয়েছে তারা ছাত্র দল এবং সেচ্ছাসেবক দল রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত বলে জানা গেছে।
ধর্ষকদের নামের তালিকা :
১। মোঃ মুনির ইসলাম, পিতা -লাল মিয়া,
২। মোঃ আরমান ইসলাম, পিতা – আব্দু,
৩। মোঃ সাব্দাম হোসেন, পিতা-(ভাইবোনছড়া কুমার)
৪। মোঃ সোহেল ইসলাম, পিতা- নবীন মিস্ত্রি,
৫। মোঃ ইমন ইসলাম, পিতা- মো: আলম ইসলাম,
৬। এনাএদ হোসেন, পিতা- রুহুল আমীন।(
(তারা অধিকাংশ ছাত্র দলের কর্মী)