
নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার রামপুরা নিরিবিলি পিকনিক স্পটের মেন গেটের পূর্ব পাসে মসজিদ সংলগ্ন গড়ে উঠেছে মা বেকারি নামে অবৈধ ফুড আইটেমের খাবারের কারখানা। যার প্রোপাইটার মোহাম্মদ লিয়াকত।
১০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ এর সূত্রে সরজমিন ঘুরে দেখা যায় ওই কারখানায় অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাবারের সাথে বিভিন্ন ক্যামিকেল রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নিম্নমানের কেক বিস্কুট সিংগাড়া সহ বিভিন্ন রকমারী খাবার।
শুধু তাই নয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোন অনুমতির ছাড়পত্র বা কোন রেজিস্ট্রেশন। জন বসতি পূর্ণ এমন একটি জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কি ভাবে অপরিকল্পিত ভাবে কারখানাটি গড়ে উঠেছে সে বিসয়ে রহয়েছে স্থানীয় দের বিভিন্ন প্রশ্ন। পাশেই রয়েছে একটি মসজিদ যেখানে মুসল্লিরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। রয়েছে নিরিবিলি পিকনিক স্পট যেখানে দূর দুরন্ত জেলার বাইরে থেকে পিকনিনে আসেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও দর্শনার্থীরা।
এ বিষয়ে অবৈধ কারখানার মালিক মোহাম্মদ লিয়াক হোসেনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি তার কারখানা পরিচালনা করার সকল নীতিমালার বিষয়ে ভুল শিকার করে বলেন, আমি কারখানাটি নতুন করেছি যদিও তবুও নড়াইল ডিসি অফিস থেকে আমাকে প্রাথমিক ভাবে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এবং বলেছেন খুব দ্রুত কারখানার অনুমতির কাগজ পত্র ঠিক করেন।
কারখানার বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দা দের ও জনসাধারণের অভিযোগ রয়েছে অনেক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, জন ও ঘনবসতি মসজিদ সংলগ্ন জায়গায় কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই বাজার প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে লিয়াকত মিয়া কাঁচা জালানি কাঠ ব্যাবহার করে বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট করছেন, তেমনি রং ক্যামিকেল মিশ্রিত অস্বাস্থ্যকর খাবার,রুটি,কেক, বিস্কুট বাজারজাত করে ভোক্তা অধিকার আইনকে অমান্য করে অবৈধ ব্যাবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
তাই স্থানীয় এলাকার বাসির দাবি নড়াইল জেলা প্রশাসন ও ভোক্ত সংরক্ষণ অধিদপ্তর “মা “বেকারির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে মুসল্লীদের নামাজ আদায় করা স্থান মসজিদের পাশ থেকে এবং জন ও ঘন বসতি পূর্ণ এলাকায় সাধারণের স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করতে কারখানা টি অনত্রে হস্তান্তর করতে মর্জি হন।