
মনোয়ার ইমাম, কলকাতা থেকে:
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসারণ সবুজ উপত্যকায় পর্যটকদের উপর বর্বরোচিত হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার যুব তৃণমূল সভাপতি ও লোকসভার সাংসদ শ্রী বাপি হালদার।
তিনি বলেন, “যদি প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে সশস্ত্র জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করে এই নৃশংস হামলা চালাতে পারে, তাহলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কি করছিল? কেন আগাম খবর পাওয়া গেল না? এবং এখনও পর্যন্ত কেন জঙ্গিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেল?”
বাপি হালদার আরও বলেন, “আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দেশের মানুষ জানতে চায়, এতবড় হত্যাকাণ্ডের পরও কেন দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে। শুধু বক্তব্য দিয়ে চললে চলবে না।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যখন আমাদের দেশ থেকে সাংসদরা বিদেশ সফরে গিয়ে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে আন্তর্জাতিক মহলে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন, তখন দেশের মাটিতে সেই জঙ্গিদের এখনো ধরা যাচ্ছে না—তা দুর্ভাগ্যজনক। যারা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পালিয়েছে বলে বলা হচ্ছে, তাদের গন্তব্য কীভাবে শনাক্ত করা গেল না?”
শেষে তিনি বলেন, এই ধরনের ভয়ঙ্কর ও পরিকল্পিত হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাপি হালদার দাবি করেন—ভারতের মাটিতে নিরীহ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে কেন্দ্র সরকারকে।