
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় পেশকার দীপংকর মল্লিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ
⚖️ আদালতের আইনজীবী ও মোহরারদের অভিযোগ
পাইকগাছা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার দীপংকর মল্লিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আইনজীবী ও মোহরাররা দাবি করেছেন, তার অনিয়মের কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং বিচারপ্রার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
⏳ আদালত পরিচালনায় অদক্ষতা ও অনিয়ম
আইনজীবীদের অভিযোগ, দীপংকর মল্লিক যথাযথভাবে আদালত পরিচালনায় সক্ষম নন। আদালত যথাসময়ে খোলেন না, আবার ইচ্ছামতো দ্রুত বন্ধ করে দেন, ফলে বিচারপ্রার্থীরা সময়মতো হাজিরা দিতে পারছেন না এবং মামলার তারিখ নির্ধারণে সমস্যায় পড়ছেন।
📅 নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী আদালত পরিচালিত হয় না
পাইকগাছায় সপ্তাহে তিন দিন নির্বাহী আদালত বসে—সোম ও বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মঙ্গলবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আদালত পরিচালনা করেন। তবে দায়িত্বের অতিরিক্ত চাপের কারণে নিয়মিত আদালত পরিচালিত হচ্ছে না। সাধারণত বিকেল ৩টায় আদালত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, পেশকার দীপংকর মল্লিক ইচ্ছামতো দুপুর ২:৩০ মিনিটে আদালত খোলেন এবং নিজের সুবিধামতো বন্ধ করে দেন।
💰 ঘুষ ও অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ
তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও নকল সরবরাহে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। আগে যেখানে নকল ফি ৩০০-৪০০ টাকা ছিল, এখন তিনি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। টাকা না দিলে তিনি তদন্ত রিপোর্ট আটকে রাখেন, যা বিচারপ্রার্থীদের জন্য গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করছে।
⚠️ আইনজীবীদের দাবি: পেশকার অপসারণ ও নতুন নিয়োগ প্রয়োজন
অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট এফ.এম.এ রাজ্জাক জানিয়েছেন, অনভিজ্ঞ ও দুর্নীতিবাজ এই পেশকারকে অপসারণ করে নতুন একজন দক্ষ পেশকার নিয়োগ দেওয়া হলে জনগণের দুর্ভোগ কমবে। তারা খুলনা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
🏛️ জনবল সংকট ও প্রশাসনের উদাসীনতা
পাইকগাছা নির্বাহী আদালতে নির্দিষ্ট কোনো বিচারক, পেশকার, কপিস্ট, টাইপিস্ট, প্রসেস সার্ভার ও অফিস সহায়ক নেই, ফলে আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পরও এখানকার আদালতের জন্য কোনো স্থায়ী বিচারক বা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
📢 দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ন্যায়বিচার ব্যাহত হবে
আইনজীবীরা মনে করেন, যদি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে এবং ন্যায়বিচারের পথ কঠিন হয়ে পড়বে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।