
নড়াইল সদরসহ কালিয়া নড়াগাতী ও লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইট ভাটা। নড়াইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য মতে জেলায় ৬৪টি ইট ভাটা থাকলেও নামমাত্র লাইসেন্স আছে ৫টি। তাও আবার পরিবেশ দূষণে প্রতিকারে নেই কোন ব্যাবস্থা।
জেলার বিভিন্ন ইট ভাটা ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগ ইট ভাটা গড়ে উঠেছে জন ও ঘনবসতি পূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সাথে। শুধু তাই নয়, সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েই ব্যাবহার করা হচ্ছে ব্যারেল চিবনি ও কাঁচা জালানি কাট। ফলে বিষাক্ত ভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ হারাচ্ছে যেমনি তার ভারসাম্য, আবার তেমনি ঝুকিতে মানুষের জীবন-মন।
নড়াইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের এমনটা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১লা, ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) ২০২৪ খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে পাটকেল বাড়ি এলাকায় দুপুরে দায়সারা একটি অভিযান পরিচালনা করে। এ-সময় ১০টির মধ্যে ৯টি অনুমোদন হীন অবৈধ ইট ভাটা ভেঙে দেয় এবং ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এসব ক্ষতি গ্রস্ত ইট ভাটার মালিক ও ম্যানেজার রা’ সাংবাদিক দের বলেন, যে সকল আইনি ব্যাক্ষায় আমাদের ইট ভাটা ভেঙে ফেলে জরিমানা আদায় করা হয়েছে তাতে করে জেলায় একটি ইট ভাটাও বৈধ নয়। আমাদের যেভাবে ভাটা গুলি ভেঙে আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে আসা করি ওই সকল ইট ভাটাও এমনটি করা হবে। যেহেতু আইন সবার জন্য সমান।
এ বিসয়ে জয়নগর এআরবি ব্রিকসের মালিক রুবেল, ও তাসলিম,এর কাছে কিভাবে অবৈধ ইট ভাটা পরিচালনা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এসকল ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি তাসিন ব্রিকসের মালিক সোহেল। তিনই ইট ভাটা থেকে টাকা পয়সা আদায় করে সাংবাদিক,পুলিশ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর মেন্টেন করে এসব ইট ভাটা গুলি পরিচালনা করেন।
এবিষয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে নড়াইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মালেক মিয়ার কাছে অবৈধ ইট ভাটা ভেঙে ফেলা ও জরিমানা আদায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের বলেন, জেলায় মোট ছোট বড়ো, ঝিক ঝাঁক সহ ব্যারেল চিবনির কাঁচা জালানি কাঠ ব্যবহৃত ইট ভাটা রয়েছে, তার মধ্যে ৫টি ভাটার লাইসেন্স আছে, ২২টা ভাটার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে, বাকিটার কোন কাগজপত্র বা ডিপার্টমেন্টের ছাড়পত্র নাই। তিনি আরও বলেন, জেলার একমাত্র এ অফিসে আমরা মাত্র দু’জন কর্মরত আছি,জনবল সংকটের কারনে আমরা এ-সব অবৈধ ইট ভাটায় সঠিক ভাবে এবং সময় মতন অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না।
উপ-পরিচালক আব্দুল মালেক মিয়ার কাছে আরও জনতে চাওয়া হয় আপনি এ সকল লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইট ভাটা থেকে কোন আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন কিনা? তিনি বলেন, এ-সব অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। যদি এমন হয় আমি বা আমার অফিসের কোন লোক ইট ভাটা থেকে কোন অর্থ লেনদেন করেছেন তা হলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।