Saturday, July 12, 2025

সুনামগঞ্জের শাল্লায় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঘুষ না দিলে চিকিৎসা ছুটি মঞ্জুর করেন না

Date:

Share post:

শাহিদুর রহমান,দিরাই উপজেলা প্রতিনিধি,

সুনামগঞ্জের শাল্লায় রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলা হতে সদ্য স্ট্যান্ড রিলিজ হয়ে আসা শাল্লা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩১ অক্টোবর(মঙ্গলবার) বেলা ১২ টায় একজন সহকারী শিক্ষিকার স্বামী তন্ময় দেব ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।তন্ময় দেব আজ নভেম্বর (বুধবার) ১/১১/২৩ সকাল ১০ টায় সংবাদ সম্মেলন এই কথা বলেন তিনি আরও বলেছেন আমার স্ত্রী মত আর কেউ যেন লাঞ্ছিত না হয়। জানাযায়, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে ঘুষ না দিলে শিক্ষকদের চিকিৎসা ছুটি মঞ্জুর করেন না। এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচির (স্লিপ) বরাদ্দ থেকেও ওই কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়। বিদ্যালয় প্রতি পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকা ঘুষ না দিলে তিনি স্লিপের বিল অনুমোদন করেন না। স্কুলের কোনো শিক্ষক কোন অসুবিধার কারণে একদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষক সহ অফিস স্টাফ দের সাথেও অশালীন আচরণ করেন তিনি। গত দুই থেকে তিন মাস আগে এক প্রধান শিক্ষক কে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেন পরে শিক্ষক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের চাপে পড়ে অব্যাহতি আদেশ তুলে নিতে বাধ্য হন তিনি।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষিকার সাথে আলাপ করে জানা যায় আমি বিগত ১৫/২০ দিনের মত অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ বিশ্রামে ছিলাম। পরে সুস্থ্য হয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়ে স্কুলে যোগদান করার পর জানতে পারলাম আমার বেতন ও পূজার বোনাস বন্ধ। পরে সালাম স্যারের সাথে যোগাযোগ করলে স্যার বলেন আপনার বেতন বোনাস ছেড়ে দিবো যদি আপনি আমাকে ২৫০০০ হাজার টাকা দেন। না হয় আমার করার কিছু নেই জবাবে ওই শিক্ষিকা জানান স্যার আমার এতো টাকা নেই তাছাড়া আমার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ঋণ করেছি দয়া করে আমার বেতন বোনাস ছেড়ে দিন। তখন স্যার বলেন এই ভাবে হবে না তাহলে আরেকটা শর্তে আপনার বেতন ছেড়ে দিবো আপনার ১ পাতা চেক দেন আমি চেক দিয়ে আমার পরিচিত সুদের কারবারি উজ্জ্বল মিয়ার কাছ থেকে ২৫০০০ টাকা সুদে নিয়ে নিবো। বেতন হলে উজ্জ্বল মিয়া ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ২৮০০০ টাকা রেখে বাকি টাকা আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে আমার বেতন রেগুলার করার জন্য সালাম স্যার কে ১ পাতা চেক দিতে বাধ্য হলাম।এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করার সত্বেও উনি ফোন তুলেননি।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব কাছে জানতে চাইলে উনি বলেন উক্ত বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা তদন্ত করবে। তদন্ত করার পরে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

দুর্নীতিবাজ মাহবুবের খুটির জোর কোথায় ? বহিষ্কারের পরেও স্বপদে বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়াধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপরেটর মাহাবুবুর রহমান।...

নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্কঃ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন...

নানার বাড়ি

নানার বাড়ি মুহাঃ মোশাররফ হোসেন যশোর জেলার থানা মনিরামপুর ঝাঁপা গ্রামে বাড়ি আমার , চালুয়াহাটি ইইউনিয়নে নানা বাড়ি মন চাইতো যেতে বারেবার! বুঝবার যখন...

রৌমারীতে নদী ভাঙ্গনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ           

রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নদী ভাঙ্গনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে রৌমারী উপজেলা প্রশাসন...