মোঃ লুৎফর রহমান লিটন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, অতীতে পতিত আওয়ামী লীগই ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করেছে, আওয়ামী লীগের সকলের চরিত্রই একইরকম, তারা একসাথে অন্যের সহায় সম্বল গ্রাস করেছে,গুম,খুন,হত্যা নির্যাতন নিপীড়ন সহ রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করেছে, স্বাধীনতার পরেই সিরাজগঞ্জ অনেকগুলো ক্যাম্প করে বিরোধী মতের মানুষদের হত্যা করেছে,সিরাজগঞ্জের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ঘরের ৯৫ ভাগ আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তারাই দখন করে নেয়।
সনাতন ধর্মের উৎসব সবার,আগেকার দিনে পাড়া-মহল্লার প্রতিবেশীরা এক সাথে বসবাস করতো এবং একসাথে সকল ধর্মীয় উৎসবে মেতে উঠতো,হিন্দু মুসলিম,খ্রিস্টানের মধ্যে কোন বিভেদ বিভাজন ছিলোনা, রাজনীতির কারণেই সমাজে বিভাজনের সৃষ্টি হয়,সমাজকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখলে ধর্মীয় বিভেদ বিভাজন হবে না এবং সকল ধর্মের মানুষ একসাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জের মজিব সড়কস্থ মওলানা ভাসানী কলেজের সামনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যুগবতার ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার আগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এইসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন,২৪ এর জুলাই আগষ্ট গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আমি কথা বলেছি,আপনারা নির্ভয়ে বসবাস করুন,ব্যবসা বানিজ্য করুন,আপনাদের কেউ আঘাত করলে সেই আঘাত আমার আত্মায় লাগে। আমার স্বপ্ন, সিরাজগঞ্জকে রেইনবো শহরে পরিণত করা,সাত রংঙের মানুষের সহ অবস্থান হবে এই শহর।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট কল্যাণ সাহা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু। সঞ্চালনে ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি অমর কৃষ্ণদাস।
আলোচনা সভা শেষে জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটি আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক শ্রী সত্য নারায়ণ সারদা। তাতে অংশ গ্রহণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।