
মোঃ এমদাদ শ্রীপুর মাগুরা প্রতিনিধিঃ
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার তখলপুর গ্রামে উদ্ধার হওয়া সেই নব জাতক শিশু হামিয়া উম্মে ছাবাকে তার কুমারী মা সিনথিয়া ইয়াসমিনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন।
জানাযায়, গত ১৭ মে বুধবার উপজেলার তখলপুর পশ্চিম পাড়ার লিয়াকত মোল্যার স্ত্রী রুবিয়া বেগম ভোর ৫ টার দিকে হাটতে বেড় হলে পশ্চিমপাড়া মসজিদের পাশে পড়ে থাকা বাজারের ব্যাগ থেকে বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে গিয়ে ব্যাগের মধ্যে একটি নবজাতক শিশু দেখতে পেয়ে মসজিদের মুসল্লিদের ডেকে আনেন এবং রুবিয়া বেগম শিশটিকে কোলে নেয়।
পড়ে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রউপেল সহযোগীতায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দারিয়াপুরে নিয়ে এলে উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের সিধান্ত অনুযায়ী নবজাতকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
এ দিকে নবজাতকের মায়ের খোজে শ্রীপুর থানা পুলিশ অনেক চেষ্টার পর প্রাথমিক ভাবে তখলপুর হাতেম আলী দাখিল মাদ্রার সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী কুমারী মেয়ের খোজ মেলে, মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় ।
তবে এখনও পর্যন্ত নবজাতকের বাবার সন্ধান মেলেনি । পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসনের জেরার মুখে উপজেলার খরি বাড়িয়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম ওরোপে কালুর ছেলে সাব্বিরসহ চার থেকে পাচ জনের নাম বলেছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
তবে শিশুটি ও তার দাবিকৃত কুমারী মা সিনথিয়া ইয়াসমিন দীর্ঘ দশ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল রবিবার এক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে শিশুটিকে তার মায়ের হাতে হস্তান্তর করা হয় ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফুজ্জামান লিটন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরাম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর অনিমেশ বিশ্বাস, শ্রীপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর আব্দুর রউপ, দায়িত্ব রত নার্স কুমারী মায়ের মা তার বড় বোনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সমাজসেবা কমকতা ওয়াসিম আকরাম বলেন, উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের সিধান্ত অনুযায়ী আমরা একশত টাকার ইস্টাম্পে লিখিত ডিড করে তার মায়ের হিবাযোতে দিয়েছি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃআশরাফুজ্জামান লিটন বলেন, গর্ভপাত,গর্ভধারন,শালদুধ বিবেচনায় ও শাররিক পরিক্ষা নিরিক্ষায় প্রাথমিক ভাবে প্রতিওমান হওয়ায় শিশুটিকে তার মায়ের জিম্মায় দেওায়া হয়েছে। তবে ডি ন এ টেষ্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট যদি মায়ের সাথে ম্যাসিং না হয় তাহলে কতৃ পকাষের সিধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান ।