Tuesday, November 4, 2025

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

Date:

Share post:

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ডেক্স রিপোর্টারঃ

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রধান চিকিৎসক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফী বলেন, ‘অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি আমাদের সবার প্রিয় বড়ভাই (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) আর আমাদের মধ্যে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আপনাদের সকলে প্রতি আমার নিবেদন, আপনারা সবাই তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে বেহশত নসীব করেন।’

ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম নিউজবিডিজার্নাঃ কে বলেন, ‘১১টা ১৫ মিনিটে তিনি বিদায় নিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে আমি খবর পেয়েছি উনি মারা গেছেন। যদিও অফিশিয়ালি এখনো ডিক্লেয়ার করা হয়নি। উনার দুইটা কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিল। এই অবস্থা থেকে ফিরে আসা উনার জন্য কঠিন বিষয় ছিল।’তিনি বলেন, ‘আমি আজ বিকেলেও যে ওনাকে দেখে এসেছি। তখনই মনে হয়েছে খুবই খারাপ অবস্থা। উনার মৃত্যুতে আমাদের স্বাস্থ্যখাতে একটা শূন্যতা তৈরি হবে, যা প্রায় অনেকটাই অপূরণীয়।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে গত বুধবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত রোববার তার চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফী।

৮২ বছর বয়সী জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহুবছর ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এর মধ্যে সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়।

১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

যশোরের অভি”যানে বিপুল পরিমাণ ইয়া’বা ট্যাবলেটসহ মা”দক ব্যবসায়ী গ্রেফ”তার

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ যশোরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ফতেপুর ইউনিয়নের ২নং বাউলিয়া চাদপাড়া ওয়ার্ডের জয় স্টোরের সামনে...

বগুড়া শহর বিএনপির ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্দোগে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রিপন বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: সোমবার বিকেলে কালিবালা গ্রামে খানকা শরীফ মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি, ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্দোগে বিশাল...

অবশেষে শার্শার-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি

মোঃ শাহারুল ইসলাম রাজ, স্টাফ রিপোর্টার: ৮৫ যশোর-১ শার্শা আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও...

ডায়মন্ড হারবার জেলা আদালতে রিপেয়ারিং ও রঙ্গ করা নিয়ে ব্যাপক দুর্নী”তির অভি”যোগ বারের

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম: আজ দুপুরে পশ্চিম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক ডায়মন্ড হারবার জেলা আদালতের বিল্ডিং এর...