Saturday, July 12, 2025

হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে

Date:

Share post:

 খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

অতিরিক্ত ঠান্ডায় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। আক্রান্ত অধিকাংশ শিশু ও নারী। প্রতিদিনে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে আধুনিক সদর হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা।

হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ সাথে কথা বলে জানা গেছে, গেলো একমাসে ৩ শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৭ জন। ভালো হয়ে ফিরে গেছেন ১২ জন। ডায়রিয়া রোগী আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি বলেন জানান কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স তপনা চাকমা বলেন, এ মাস থেকে ডায়রিয়া রোগী প্রচুর বেড়েছে, মাঝে মধ্যে বারান্দায় জায়গা দিতে পারছিনা। সে তুলনায় আমাদের জনবল কম, উদ্বেগজনক হারে রোগী বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে বলে জানায় হাসপাতালে নার্স।
তপনা চাকমা আরো বলেন, তারপরেও আমরা চেষ্টা করি সব রোগীরা যেনো যথাযথ ভাবে চিকিৎসা সেবা পাই।

প্রতিবেদক খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতাল সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাই, ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। সয্যা সংকটে ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে ও বারান্দায়। বেশি রোগীর চাপে নানা মুখী সংকটের কারণে স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলো সেবা নিতে এসে ভোগান্তি পরেছে রোগী ও স্বজনরা।

বাঘাইছড়ি মারিষ্যা থেকে কুসুমা ও দীঘিনালা মেরুং ফাইদা খানন ও খাগড়াছড়ি থেকে ক্রানুচিং মারমা বলেছেন, আমাদের বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সাথে সাথে চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করেছে। এখন আমার বাচ্চা অনেকটা সুস্থ। আজকে চলে যেতে চাইলে ডাক্তার বলেন আপনারা আরো একদিন থাকেন, রোগী ভালো না হওয়া পর্যন্ত থাকেন হাসপাতালে নার্স ও ডাক্তাররা ভালো ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ। শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওনারা যথেষ্ট ভুমিকা পালন করে বলে জানান অভিভাবকরা।

ইমন রোয়াজা জানান, আমার ছেলে ডায়রিয়া ও বুমি হওয়ার পরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসছি। আসার পরে দেখলাম ডাক্তার, নার্স ও আয়া হতে ভালো চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। বর্তমানে আমার ছেলে সুস্থ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজকে ছাড়পত্র দিয়েছে।

কি পরিমাণ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে ও ঔষধ কোনো ঘাটতি আছে কিনা জানতে চাইলে? খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতাল মেডিকেল অফিসার রিপ্পল বাপ্পি চাকমা জানান, প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৬০০ থেকে ৭শত জন ও জরুরি বিভাগের ১৫০ থেকে ১৬০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। শীত সংক্রান্ত রোগের জটিলতা অথবা রোগের আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ মেডিসিন আমাদের হাসপাতালে মজুত আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

দুর্নীতিবাজ মাহবুবের খুটির জোর কোথায় ? বহিষ্কারের পরেও স্বপদে বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়াধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপরেটর মাহাবুবুর রহমান।...

নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্কঃ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন...

নানার বাড়ি

নানার বাড়ি মুহাঃ মোশাররফ হোসেন যশোর জেলার থানা মনিরামপুর ঝাঁপা গ্রামে বাড়ি আমার , চালুয়াহাটি ইইউনিয়নে নানা বাড়ি মন চাইতো যেতে বারেবার! বুঝবার যখন...

রৌমারীতে নদী ভাঙ্গনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ           

রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নদী ভাঙ্গনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে রৌমারী উপজেলা প্রশাসন...