
মোঃ ওয়জেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
যশোর সদরে রামনগর ইউনিয়নে সতীঘাটায় সার্বজনী পূজার মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের শেষে রবিবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এবার যশোর সদরে রামনগর ইউনিয়নে মোট ১০ পুজামন্ডপে শারদী দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় । তবে সকাল বিহিতপূজা মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর আলিঙ্গনের বিজয়ী দশমী প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানানোর দিন হলো বিজয় দশমী।
বিজয়া দশমীতেই দুর্গা কৈলাসে গমন করেন, তাই মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন ভক্তরা। অন্তরে দেবী মাকে রেখে বিদায়ের সুর বাজে ঢাক ও শঙ্খের ধ্বনিতে। তবে মন্ডপে মন্ডেপে পুরোহিতের মন্ত্র পড়ার পাশাপাশি ভক্তদের চোখে বেদনার জল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্য ছিলেন, আনসার,ভিডিপি এবং সার্বক্ষণিক তদারকিতে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিজিবি, সহকারী পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন, রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ ও সাংবাদিক।এরপর পূজার সব কার্যক্রম শেষে দেবীদুর্গাকে সতীঘাটা মুক্তিরশরী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
সন্ধ্যার পরে থেকে পূজা মন্ডপে দেবীদুর্গাকে প্রসাদ দেওয়া এবং সিঁদুর দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ভক্তবিন্দুরা। দুর্গাদেবী বিসর্জনে উপলক্ষে রামনগর ইউনিয়নে বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি নিরাপত্তা ছিল থানার পুলিশ।সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঢাক ঢোল ও উলুধ্বনিতে পূজা মন্ডপ গুলো ছিল আনন্দে মুখরিত। তবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় নিল দূর্গা উৎসব ।