Thursday, August 7, 2025

আমার কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব কিছু না: শেখ হাসিনা

Date:

Share post:

ডেস্ক রিপোর্টঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন চেয়েছিলেন তেমন বাংলাদেশ গড়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমার কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব কিছু না। প্রধানমন্ত্রী হলে বহু আগেই হতে পারতাম। কিন্তু আমি সেভাবে চাইনি।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন
অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণ সাধন করার। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলা।

সেই প্রচেষ্টাই আমি চালিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার
আদর্শ নিয়ে পথ চলায় আজকে বাংলাদেশ অনেক
এগিয়ে গেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল
দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। যা বাস্তবায়ন হবে
২০২৬ সাল থেকে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে যদি
রাষ্ট্র পরিচালনা হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ আর
পেছনে ফিরে তাকাবে না। অনেক দেশই আমাদের
সঙ্গে হয়েছিল, অনেকেই পিছিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু পিছিয়ে যাইনি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর আমাদের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। অনেক ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা শুরু করি। ১৫ আগস্টের পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই ভাষণ বাঁজিয়েছিল এবং তা মানুষকে শুনিয়েছিল। আমি জানি না পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো ভাষণ এতোবার শোনা হয়েছে কি না। আজকে সেই ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রামাণ্য দলিলে মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে; যা বাঙালি জাতির ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি চাই আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক সবাই আমাদের এই যে অর্জনগুলো ধরে রাখেন। এর মাধ্যমেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতা এই বাংলাদেশের জন্য যে মহান আত্মত্যাগ করে গেছেন, সেটি আমাদের ভুললে চলবে না। কারণ তার ভাষা আন্দোলন, তার ইতিহাস আপনারা জানেন।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকার ক্ষমতায় আছি। ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩, এটি এখন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা উপলদ্ধি করতে পারবে না ২০ বছর আগে কেমন বাংলাদেশ ছিল। সেখানে ক্ষুধা-দারিদ্র ছিল, বৈজ্ঞানিক কোনো কিছু ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিমিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। এই স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেব। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেটি বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যা যা করার আমরা করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে
মরণোত্তর সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান
করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ
থেকে বিশেষ সমাবর্তনের সভাপতি অধ্যাপক ড.
মো. আখতারুজ্জামান বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সমাবর্তন বক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর এই ডিগ্রি তুলে দেন।

এম,এম,হোসেন/নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

জুলাই গ’ণঅ’ভ্যুত্থানের শ’হীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হবে বলেছেন  বিএনপি সভাপতি  রুমানা মাহমুদ

মোঃ লুৎফর রহমান লিটন, সিরাজগঞ্জ  প্রতিনিধি:  সিরাজগঞ্জ -২ ( সিরাজগঞ্জ সদর আংশিক ও কামারখন্দ উপজেলা)  আসনের সাবেক নির্বাচিত জাতীয়...

২য় বার শ্রেষ্ঠ অফিসার্স ইনচার্জ বাবলুর রহমান খান

মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ বৃহত্তর যশোর জেলার অন্তগত থানা সমূহের কর্রমরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (অফিসার্স ইনচার্জ) মধ্য ২য় বার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ...

দক্ষিণ বঙ্গ আন্তর্জাতিক সাহিত্য পরিষদ- এর নতুন  কমিটি গঠন: সভাপতি বাবুল আকতার সম্পাদক ফারুক 

নিজস্ব প্রতিবেদক:  দক্ষিণ বঙ্গ আন্তর্জাতিক সাহিত্য পরিষদ-এর ২০২৫-২৬ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট ২০২৫) মোহাম্মদ বাবুল...

সিরাজগঞ্জে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা ব’ন্ধ অ’বরুদ্ধ একটি পরিবার

মোঃ লুৎফর রহমান লিটন  (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ  সিরাজগঞ্জে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ, অবরুদ্ধ একটি পরিবার।  সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের...