স্টাফ রিপোর্টারঃ
অনিয়ম দূর্ণীতির সংবাদ প্রকাশ করার অপরাধে যশোরের শার্শায় সাংবাদিক আসাদুর রহমানকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করলেন নাভারণ হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম।
শনিবার (০১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টার সময় নাভারণ সাতক্ষীরা মোড় হাইওয়ে সড়কে তাকে পিটিয়ে আহত করেন তিনি।
সাংবাদিক আসাদুর রহমান যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কন্ঠ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
এ ঘটনার পর খবর পেয়ে সাংবাদিক আসাদুর রহমানকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার সহকর্মীরা।
এদিকে উক্ত ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে হাইওয়ে সার্জেন্ট রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন যশোর জেলা ও উপজেলার সাংবাদিক মহল।
রাতেই সাংবাদিকরা অনতি বিলম্বে নাভারণ হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম কতৃক সাংবাদিককে নির্যাতন করার অপরাধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সার্জেন্ট রফিকের শাস্তি না হলে কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
রাত পার হতে না হতেই সার্জেন্ট রফিককে যশোর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে বলে সংবাদ আসলে কিছুটা স্বস্তি মেলে সাংবাদিক মহলে।এদিকে সাংবাদিক আসাদুর রহমান বাদী হয়ে শার্শা থানায় রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শার্শা, নাভারণ, বেনাপোল, বাগআঁচড়া ও যশোর জেলার সাংবাদিক মহল রাতেই একাত্মতা ঘোষনা করে আন্দোলনের হুমকি দিলে তার ফলশ্রুতিতে সার্জেন্ট রফিককে ক্লোজ করা হয়।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে নাভারণ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিষয়টি শুনে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
সাংবাদিক আসাদুর রহমান কে মারধরকারী সার্জেন্ট পুলিশ রফিককে ক্লোজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে যশোর সার্কেলের এএসপি ইমরান হাশমী।
উল্লেখ্য : গত ০১ জুলাই শনিবার কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি দূর্ণীতির নিউজ প্রকাশ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাতেই তিনি সাংবাদিককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মনের জালা মিটান। নিজের অপকর্ম ঢাকতে মাছ না পেয়ে ছিপে কামড় দিয়ে নিজেকে ধোয়া তুলসীপাতা বানানো চেষ্টা করেন সার্জেন্ট রফিক।