মোহাম্মদ মিলন আকতারঠা, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
আমার নির্বাচনী এলাকা (ঠাকুরগাঁও -২) সহ ঠাকুরগাঁও বাসী —সকলকেই পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সব ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে বুকে জড়ানোর দিন; সাম্য, সৌহার্দ্য, ভালোবাসা, মিলনের দিন।
“কুরবাণীর মহান আদর্শ নিয়ে পবিত্র ঈদুল আয্হা আমাদের দ্বারে সমাগত। পবিত্র ঈদুল আযহার মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলন করতে হবে।
ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত প্রতি বছর ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে ফিরে আসে। স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা কোরবানির শিক্ষা। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-ক্রোধকে পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হওয়া আমাদের কর্তব্য।
‘‘প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম -প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে৷ তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাকে ধুয়ে মুছে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে পরস্পর প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হবো৷ ঈদু'ল আয্হার শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত করা আমাদের কর্তব্য ।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সমগ্র মুসলিম জাতি ঈদ উদযাপন করবে ।
আত্মিক পরিশুদ্ধির ফলে দূর হয়ে যাবে সব সংকীর্ণতা ভেদাভেদ, অন্যায়, অবিচার, ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসা। ঈদ যে আনন্দের বার্তাবয়ে এনেছে, তার মর্মমূলে আছে শান্তি ও ভালোবাসা। পরস্পরের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হয়ে ওঠার এক মহান উপলক্ষ ঈদ। ঈদুল আযহার আগমনী সুরে বেজে চলেছে মানুষে মানুষে মিলনের এই আকুতি।
প্রিয় আমার নির্বাচনী এলাকা বাসী - আমি আমার মরহুম পিতা ও বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগ এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার নির্বাচিত এলাকা (ঠাকুরগাঁও -২) সহ ঠাকুরগাঁও জেলার হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছি, প্রয়োজনে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করবো। আমার পিতা উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান ,বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ,ঘনিষ্ঠ সহচর, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৪৯- ১৯৫৩) ,আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা অন্যতম সদস্য , ভাষা সৈনিক, অ্যাডভোকেট দবিরুল ইসলাম এমএলএ (যুক্তফ্রন্ট সরকার)। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে যার ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনা পর্বে যে ক’জন সাহসী সূর্য সন্তান তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল দবিরুল ইসলাম ছিলেন সেই সাহসী ও স্বপ্ন সারথিদের অন্যতম একজন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে আইয়ুব সরকারের নির্যাতনের শিকার হন তিনি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৫২’র ভাষা আন্দোলনের সময় বর্তমান ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর জেলা কারাগারে নিয়ে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। জেল থেকে বেরিয়ে ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। কিন্তু কারাগারে নির্যাতনের কারণে তার স্বাস্থ্য চরমভাবে নষ্ট হয়। যার ফলে তিনি হৃদরোগ সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।পরবর্তীতে ১৯৬১ সালের ১৩ ই জানুয়ারিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন । সুতরাং আমাদের শরীরে আওয়ামী লীগের রক্ত পরিবাহিত । যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ
আমাকে ঠাকুরগাঁও -২ আসনের চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রদান করেন । আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ । আমি যদি (ঠাকুরগাঁও -২)আসন থেকে নির্বাচিত হতে পারি তাহলে , সরকারি দান-অনুদান এর পাশাপাশি আমারও ব্যক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে । আমার ব্যক্তিগত জীবনে চাওয়া-পাওয়ার হিসাব বলতে কিছু নেই । আমি আমার মরহুম পিতা মত সেবক হয়ে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে চাই ।