মোঃ ওয়াজেদ আলী স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের চৌগাছায় রহিমা হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করল যশোর পিবিআই পুলিশ। পিবিআই প্রধান জনাব বনজ কুমার মজুমদার, ডিআইজি বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্ত্ববধান ও দিক নিদের্শনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এর নেতৃত্ত্বে এসআই (নিঃ) সৈয়দ রবিউল আলম পলাশ সঙ্গীয় এসআই গোলাম আলী সহ যশোর জেলার চৌকস দল গত ৯ই মে২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় অনুমান ৭টার সময় অভিযুক্ত আসামি ১ রুস্তম আলী (৪২) পিতা: মোবারক আলী, সাং-বড় কাবিলপুর, থানা: চৌগাছা, জেলা : যশোরকে তার বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে গ্রেফতার করেন বলে যানা যায়। গত ২৫-০৩-২০২৩ তারিখে সকালে ভিকটিম রহিমা খাতুনের সাথে আসামি রুস্তম আলীর ঝগড়া হয় এবং দুপুর অনুমান ১২টার সময় ভিকটিম রহিমা খাতুনের শয়ন কক্ষ হতে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ভিকটিমের শয়ন কক্ষের দিকে প্রবেশ করে ভিকটিমকে আহত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চিকিৎসার জন্য চৌগাছা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। অত:পর রহিমাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ইং ২৫-০৩-২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমান ৫টা২০ মিনিটের সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমাকে মৃত ঘোষনা করে। তখন কোতয়ালী থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের সুরতহাল করে। সুরতহালে ভিকটিমের শরীরে আঘাতের, গলায় ফাঁসের চিহ্ন এবং ভিকটিমের মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া যায় মর্মে উল্লেখ করেন। অত্র মামলার বাদী গত ০৯-০৫-২০২৩ তারিখে পিবিআই অফিসে এসে রহিমার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের আবেদন করেন,যশোর পিবিআই সেটা আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করেন। এসআই (নিঃ) সৈয়দ রবিউল আলম পলাশ তদন্তকালে ঘটনাটি হত্যা মনে হওয়ায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে রুস্তমকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের চাচা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি মামলা করেন,যার মামলা নং-১২ তারিখ ১০-০৫-২০২৩ ইং, ধারা- ৩০২-২০১-৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই(নিঃ) সৈয়দ রবিউল আলম পলাশ এর উপর অর্পণ করেন। এই বিষয়ে সৈয়দ রবিউল আলম পলাশ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রহিমা খাতুন (২৭) এর সাথে মহিউদ্দিন (৩৮), পিতা: মোবরক আলী, সাং-বড় কাবিলপুর, থানা: চৌগাছা, জেলা: যশোর এর ১০(দশ) বছর পূর্বে বিবাহ হয়। আসামি রুস্তম আলী ভিকটিম রহিমা খাতুনের সম্পর্কে ভাসুর। গত ২৫-০৩-২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সকালে ভিকটিম রহিমা খাতুনের সাথে আসামি রুস্তম আলীর ঝগড়া হয় এবং দুপুর (অনুমান) ১২ টার সময় ভিকটিম রহিমা খাতুনের শয়ন কক্ষ হতে চিৎকার শুনা যায়।রহিমার চিৎকারে প্রতিবেশীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ভিকটিমের শয়ন কক্ষের দিকে প্রবেশ করে ভিকটিমকে আহত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে। এসময় রুস্তম আলী দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায়। ভিকটিম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল মর্মে আসামি রুস্তম আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা রহিমার পরিবারের সদস্যদের জানায়। সরেজমিন তদন্তে ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় ভিকটিম রহিমা খাতুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার চেষ্টা করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। আসামী রুস্তমকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য কোন আসামী আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত অব্যহত আছে।