মোঃ এমদাদ মাগুরা প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ১৫ বছর জেল, জুলুম ও অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ- সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাসান সোহান তার জন্মভূমির মাটি শ্রীপুর উপজেলার সোনাতুন্দী গ্রামের বাড়িতে এলেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর হাসিমুখে গ্রামের বাড়িতে এই প্রথম পা রাখলেন ।
এ উপলক্ষ্যে আজ শনিবার সকালে মাগুরা জেলা ও শ্রীপুর উপজেলার যুবদল,ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী তাকে কামারখালী ব্রিজের সামনে থেকে ফুলের তোড়া প্রদান করে অভ্যর্থনা জানান।
সেখান থেকে বিপুর সংখ্যক নেতাকর্মীর গাড়ি ও মোটরসাইকেল বহরে তাকে গ্রামে বাড়ি নিয়ে আসে।
গাড়ি থেকে নেমে প্রথমে তিনি তার মা মোছাঃ তালিমা বেগমের সাথে দেখা করেন পরে সারিবদ্ধ অপেক্ষমান প্রতিবেশী বিভিন্ন বয়সী মেয়েরা তাকে রজনীগন্ধা ফুলের স্টিক প্রদান করে সংবর্ধনা জানান ।
দীর্ঘ ১৫ বছর মা তার সন্তানকে দেখতে পারেননি। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে মা অঝরে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মার সাথে সাক্ষাৎ শেষে বাড়ির সংলগ্ন সোনাতুন্দী ' বাজার চৌরাস্তা মোড়ে অনুষ্ঠিতব্য গ্রামবাসীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে দুই হাত নেড়ে সংবর্ধনার জবাব দেন ।
এসময় বক্তব্য রাখেন সোহানের চাচা সাবেক প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান,মাগুরা জেলা যুবদলের পরিবেশ ও বন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামসুজ্জামান সুমন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এস এম আবু তাহের,শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জিয়াউল হক ফরিদ,স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম লিটু, মোঃ আবেদ আলীসহ মাগুরা জেলা ও শ্রীপুর উপজেলার যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন
তখলপুরের মাচাভাঙ্গা গ্রামের সহিদুল ইসলাম।
সকালে মোটরসাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে গ্রামবাসী তাকে রিসিভ করতে কামারখালী ব্রিজের সামনে যান।
আলমগীর হাসান সোহান তিনি তার বক্তব্য বলেন=কে কোন দল করেন সেটা বড় কথা নয় আমরা সবাই বাংলাদেশী আমরা সবাই সমান সাথে গ্রামবাসি সবাইকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ।