যশোরের কুয়াদা বাজার সংলগ্নে আমগাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুল গফ্ফার নামে এক ভ্যান চালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
১০/০৭/২০২৪ ইং তারিখ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কুয়াদা বাজার সংলগ্ন মনিরামপুর থানাধীন আব্দুল মান্নানের পুকুর পাড়ে একটি আমগাছের সাথে গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। আব্দুল গফ্ফার যশোর সদর উপজেলার বাজুয়াডাঙা গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে। ভ্যান চালকের ছেলে রিপন হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মায়ের সাথে বাবার কোন সম্পর্ক নেই। তবে আমার বাবা বাজুয়াডাঙা গ্রামে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভ্যান চালিয়ে দিন চলত তাঁর। আমি ডহরসিংহ গ্রামে বাড়ি করে মাকে নিয়ে সেখানে থাকি। রিপন বলেন, পৃথক থাকলেও বাবার সাথে আমার যোগাযোগ ছিল। তিনি আমার সাথে কুয়াদা বাজারে এসে দেখা করতেন। গেল শনিবার সন্ধ্যায় বাবা আমার সাথে দেখা করেন। তখন তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। তাতে মনে হয়েছে বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রিপন হোসেন আরও বলেন, আমি বাবাকে ডাক্তার দেখানোর উদ্যোগ নিচ্ছিলাম। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে আর তার দেখা পাইনি। ভেবেছি হয়তো কোথাও গেছে আবার চলে আসবেন।
এজন্য বিষয়টি আত্মীয়স্বজন বা পুলিশকে জানাইনি। কিন্তু আজ দুপুরে শুনি আম গাছের মাথায় বাবার লাশ ঝুলছে। প্রত্যক্ষদর্শী শামিম হোসেন বলেন, আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুয়াদা বাজারের পাশে আব্দুল মান্নানের পুকুর পাড়ে আম গাছের সাথে ঝুলন্ত লাশ দেখে বাক প্রতিবন্ধী এক নারী চিৎকার করছিলেন। তখন আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি মাটি থেকে ১৫-২০ ফুট উপরে আম গাছে গলায় গামছা পেঁচানো এক ব্যক্তির লাশ। কিন্তু তার শরীর পচে তা থেকে গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই ঘটনার বিষয় সংবাদ পেয়ে মনিরামপুর থানায় ওসি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, গত ৭ জুলাই থেকে ভ্যান চালককে এলাকায় দেখা যায়নি। ঘটানাটি দেখে তিনি আরও বলেন প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে আমরা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভ্যানচালক আব্দুল গফ্ফারের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তার পরিবার ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।