লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
সীমান্তের একদল চোরাকারবারীরা বেপরোয়া হয়ে ভুট্টাক্ষেত ভেঙ্গে তছনছ করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ভোররাতে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নওদাপাড়া সীমান্তে এ ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকবাদি হয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একদল চোরাকারবারি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় কাটাতারের রেড়ার উপর দিয়ে আন্তর্জাতিক পিলার ১০৫৭ থেকে শুরু করে ১০৬৩ নং পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে গরু, মাদক, জিরা, চিনি, কাপড়সহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল পাচার করে আসছে। এনিয়ে সীমান্তে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলছে। ভারতীয় বিএসএফের গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, বিজিবি ও চোরাকারীর মাঝে সংঘর্ষ, উভয় পক্ষে ৬ জন আহত, বিজিবি কর্তৃক আটক, হাসপাতালে ভর্তি ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনাও ঘটছে। এতেও থামেনি চোরাকারবারির দাপট। প্রতিরাতেই তারা সীমান্ত ঘেষঁা ভুট্টা ও ধানক্ষেত ভেঙ্গে তছনছ করছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে চোরাকারবারিরা। কোনক্রমেই যেন তাদেরকে দমানো যাচ্ছে না। অপরদিকে এসব ঘটনা ধামাচাপা দিতে চোরাকারবারী, বিজিবি ও পাইলট নামের কিছু অসাদু ব্যক্তি বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন। এদিকে উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের মমিজল হকের ছেলে সাদা মিয়া তার ৪০ শতক জমির ভুট্টাক্ষেত ভেঙ্গে নষ্ট করায় চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে চোরাকারবারিরা ক্ষতিপূরণ দিতে চাচ্ছে এবং দরখাস্ত তুলতে বলা হচ্ছে।রৌমারী সদর ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, সত্যতা স্বীকর করে বলেন, চোরাকারবারীরা এক কৃষকের ক্ষেত নষ্ট করেছে। কৃষকের ক্ষতি করাটা মোটেই ঠিক করেনি।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হিল জামান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রৌমারী সদর কোম্পানি কমান্ডার সাইদুর রহমান জানান, এঘটনায় কেউ আমাকে জানায়নি। তবে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।