হুমায়ুন কবির,কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
২৮শে অক্টোবর জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে হরতাল ও অবরোধ কর্মসুচী ঘোষণার পর থেকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগণের জানমাল নিরাপত্তা ও সার্বিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ নড়ে চড়ে বসতে দেখা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় নাশকতা এড়াতে ও সম্ভাব্য উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগ সামনে এনে আটক করা হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের ।ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় এরই মাঝে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে তৃণমূল বিএনপির অনেক নেতা কর্মী। যেকারণে সম্ভাব্য ধরপাকড় এড়াতে উপজেলার বিএনপির নেতা কর্মীরা রাত হলেই কাঁথা ,বালিশ , মশারী ও টর্চ লাইটসহ বেরিয়ে পড়ছেন বাড়ির পাশে মাঠে অথবা ছোট জঙ্গলে।দিনের আলো ফোটার পরেই বের হচ্ছেন রাত্রী যাপনের স্থান থেকে। গ্রেফতার এড়াতে বাড়ি ছাড়া নেতা কর্মীরা মুঠোফোনেও পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছেন না ঠিকমতো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাখালগাছি ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন নেতা এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা প্রত্যেকেই ইউনিয়ন বিএনপি'র বিভিন্ন পদে রয়েছি।স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইউনিয়ন ভিত্তিক নামের তালিকা করে কালীগঞ্জ থানায় জমা দিয়েছেন বলে শুনেছি। ওই তালিকা অনুযায়ী প্রতি রাতে বাড়িতে এসে পুলিশ হানা দিচ্ছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আমরা যারা দল করি শুধু তারাই নয় বাড়িতে ছেলে ভাইপোরাও রাতে ঘুমাতে পারছে না। যদি আমাদের না পেয়ে ওদেরকে ধরে নিয়ে যায় এই ভয়েতে। এভাবে আর কতদিন? খোজ নিয়ে জানাগেছে ,ঝিনাইদহ ৪ আসনের মনোয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ নিজে এমন পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে সাহস যোগাচ্ছেন। নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন বিএনপির এই নেতা ।এরই মাঝে পৃথকভাবে তিনটি মামলা হয়েছে উপজেলা বিএনপির অন্যতম কর্ণধার হামিদুল ইসলাম হামিদ সমর্থিত উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মিলনসহ একাধিক নেতা কর্মী নামে ।উপজেলা, পৌর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল পদধারী নেতাকর্মী ইতিমধ্যে বাড়ি ছেড়েছেন।আবার আটক হয়েছেন কয়েক ডজন নেতাকর্মী।মুঠোফোনে কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মিলন জানান ,সরকারের গায়েবী ও কাল্পনিক মামলায় আমরা ভিতু না ।রাজপথের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দাবি আদায় করা হবে , এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা ।এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ মুঠোফোনে জানান ,আমাদের শান্তিপূর্ন সকল আন্দোলনেই পুলিশ বাধা সৃষ্টি করছে ।এরই মাঝে তিনটি মামলায় আমাদের প্রায় ১০০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে ।যতই শক্তিপ্রয়োগ করা হোক না কেন চলমান আন্দলোন থামানো যাবেনা।দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরবো । তারেক রহমানের নির্দেশে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আমি সক্রিয়ভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। বিজয় আমাদের সন্নিকটে। বিরোধী নেতাকর্মী আটক ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সম্পর্কে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান ,সড়কে প্রতিবন্ধকতা ও নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে ।সাধারন মানুষদের কোন হয়রানি করা হচ্ছে না ।এখানে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভাল।