রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
রৌমারী যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২ জন শিক্ষক, ফেইসবুক পেজেভাবমুর্তি ক্ষুন্ন, পোষ্ট করার দায়ে ১ জন শিক্ষক ও ১ জন সহকারী কম্পিউটারের বিরুদ্ধে সাময়িকবহিস্কার এবং সাবেক সভাপতি ও জমিদাতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অভিযোগউঠেছে। গত ১৬ অক্টোবর ২০২৩ মামলার অভিযোগে যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপকশফিকুল ইসলাম, প্রভাষক আনছার আলী, প্রভাষক আবুল হাশেম ও কম্পিউটার এসিস্টেন্ট জিয়াউর রহমানকে সাময়িক বহিস্কারের অভিযোগ এবং অনিয়মের অভিযোগে সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম ও জমিদাতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি, মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগ ও মামলার নথি সুত্রে জানা যায়, গত ১১ অক্টোবর ২০২১ সালে কলেজের সাবেক সভাপতি
গর্ভর্নিং বডির সভা না করে এবং কোন প্রকার কারন দর্শানো ছাড়াই অনিয়ম দুনর্ীতিতে
অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বহিস্কার। সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধক্ষেরদায়িত্বভার অর্পণ। (ভারঃ) অধ্যক্ষের দায়িত্বের রেজুলেশনের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করেরেজুলেশনটি ও সভাপতির পদটি স্থগিত করলেও প্রভাব খাটিয়ে জোরপুর্বক কলেজ পরিচালনা করে আসা। অধ্যক্ষের কক্ষে তালা, কোর্টের আদেশ অমান্য করে দায়িত্বের অপব্যবহারে (ভারঃ) অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে
ছাত্র/ছাত্রীদের প্রশংসাপত্র, ভর্তি ও ফরম পুরনের আদায়কৃত অর্থসহ কলেজে বিভিন্ন ভাবে নেয়া
অর্থ, কলেজ ফান্ডে জমা দেয়ার বিষয়ে বারবার লিখিত ভাবে জানালেও কলেজ ফান্ডে অর্থ জমা না দেয়ায়, সর্বশেষ হিসাব অনুয়ায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সহকারি অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের
(পৌরনীতি) নিকট ১লক্ষ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকা, প্রভাষক আনছার আলীর (তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি) নিকট ১লক্ষ ৮৩ হাজার ৪১৮ টাকা, জিয়াউর রহমান (কম্পিউটার এসিস্টেন্ট বিএম শাখা) ৭৪ হাজার ৪১৭ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে কলেজের টাকা আত্মসাত করা এবং ফেজবুকে
কলেজের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা প্রকার মন্তব্য পোষ্ট করার অভিযোগে প্রভাষক আবুল হাশেম (হিসাব বিজ্ঞান)কেসহ নানা অভিযোগে ৪ জনকে সাময়িক ভাভে বহিস্কার করেছে এবং সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম ও জমিদাতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীর বিরুদ্ধে গত ১৮ আগষ্ট ২০২৩ যাদুরচর ডিগ্রী কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি প্রভাষক সবুজ মিয়ার নির্দেশে
সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ জনকে অভিযুক্ত করে সাময়িক বহিস্কারসহ
সভাপতিত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয় এবং তাদের ৬ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনে মামলা দায়েরের ও সিদ্ধান্ত হয়। গর্ভনিং বডির আদেশে কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ ফৌজদারী জজ আদালতে মামলা দায়ের
করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে পরিচালনা কমিটির।অভিযুক্ত প্রভাষক আবুল হাশেম বলেন, অধ্যক্ষ, সরকার বা কলেজের বিরুদ্ধে ফেইজবুকে কোন প্রকার অনৈতিক পোষ্ট করা হয়নি। অযথা আমার বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটিতে রেজুলেশন করে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। বরং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ হয়ে সংবাদ পরিবেশন হয়েছে। অধ্যক্ষ হিসেবে তাহার দীর্ঘদিন যাবত থেকে বিল ভাতা বন্ধ রয়েছে।
অভিযুক্ত সহকারি অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সাথে ০১৭২১৫৭৪৫২৫ নাম্বারে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২০১২১ সালের অক্টোবর মাসে অন্যায়, অনিয়ম দুরর্নীতি আমাকে বহিস্কার করে এবং সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলামকে (ভারঃ) অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম ও জমিদাতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করলে আমার অধ্যক্ষের দায়িত্ব ফিরে পাই। দায়িত্ব গ্রহনের পর কলেজের নানা প্রকার অর্থনৈতিকভাবে ফান্ডে টাকা জমা পাওয়া যায়নি। খোজ নিয়ে জানা গেছে ৩ জন শিক্ষক
নানাভাবে অর্থ আত্মসাত করেছে। বারবার টাকা জমা দেয়ার কথা বলা হলেও বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়েছে।
গর্ভনিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফেইসবুকে নানা প্রকার মানহানিকর পোষ্ট করার অভিযোগে আবুল হাসেমসহ ৪ জনকে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম ও জমিদাতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসির বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।যাদুরচর কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাষক সবুজ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, গর্ভনিং বডির সভার বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে রেজুলেশনের মাধ্যমে ৪ জনশিক্ষককে সাময়িক বহিস্কার এবং সাবেক সভাপতি ও জমিদাতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মতে অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।