প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ১:৪৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ১০, ২০২৩, ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ
উপপরিদর্শক আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় ফাঁসানোসহ অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় মাদক না পেয়ে মাদক দিয়ে অসুস্থ হোটেল শ্রমিককে ফাঁসানোসহ অর্থ বানিজ্যের তদন্তে নেমেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। বিভিন্ন গনমাধ্যমে হোটেল শ্রমিককে ফাঁসানোসহ অর্থ বানিজ্যের সংবাদটি বিভিন্ন সংবাদপত্র গুরুত্বের সাথে পরিবেশন করে। নড়েচড়ে বসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। তারই পরিপেক্ষিতে সাতক্ষীরা ডেপুটি ডিরেক্টর হাসেম আলীকে প্রধান করে বৃহঃবার (১০ আগষ্ট) সকালে ঢাকালে পাড়ায় তদন্ত দলটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময়ে তারা স্বাক্ষীদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন।
২১ জুন বুধবার ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কার্য্যালয়ের অভিযানিক দল ৪ ঘন্টা ব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন। মাদক উদ্ধারে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঝিনাইদহ মাদক নিয়ন্ত্রন অফিসের উপ পরিদর্শক আলতাফ হোসেন। এই সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিদর্শক মোহাম্মদ বোরহানুর রহমান মৃধা, সহকারী পরিদর্শক আব্দুর রশিদ, সহকারী পরিদর্শক পাপিয়া সুলতানা,ড্রাইভার ইদ্রিস মোল্যাসহ কয়েকজন।
অভিযানের সময় এক ঘুমন্ত হোটেল শ্রমিককে মাদক মামলায় ফাঁসানোসহ মোট ৭৪ হাজার টাকা অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ঐ আভিযানিক দলের বিরুদ্ধে। এ ব্যপারে সংবাদ সংগ্রহ করতে উপপরিদর্শন আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিককেও রুপসা গাড়ির ভিতর থেকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
ঢাকালে পাড়ার বাসিন্দা জুয়েল রানার বাড়িতে ঢুকে এক পর্যায়ে কোন মাদক না পেয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় আলমগীরকে ডেকে ১৭ পিস ইয়াবার কৌটা হাতে ধরিয়ে দেন উপ পরিদর্শক আলতাফ হোসেন। এ সময়ে জুয়েল রানাকেও হাতকড়া পরিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। বাড়িতে থাকা জুয়েল ও তার সহধর্মিনীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে সেখানে উপস্থিত থাকা এই মামলার এক নম্বর সাক্ষী আসাদুল জামান বাবুর মাধ্যমে দেনদরবার করে জুয়েলের সহধর্মিনী। পরবর্তীতে বাবুর হাত থেকে সহকারী পরিদর্শক আব্দুর রশিদ ৬৮ হাজার টাকা নগদ গ্রহন করেন এবং তল্লাশি সময়ে জুয়েলের মানিব্যাগ থেকে ৬ হাজার টাকাও তারা নিয়ে নেন। একই সাথে আলাদা ঘরে জুয়েল ও তার স্ত্রীর নিকট থেকে জোরপূর্বক কোথাও কিছু খুয়া যায়নি বা অর্থ লেনদেন করিনি এই মর্মে ভিডিও বক্তব্য ধারণ করেন। এ সময়ে বেড রুমে থাকা সিসি ক্যামেরা তারা ভাংচুর করে। কালীঞ্জ থানার ১৩/২৩ মামলার ১নং স্বাক্ষী আসাদুল জামান বাবু ৬৮ হাজার টাকা কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ঐ মামলা ২ নং আসামী একই উপজেলার দেবরাজপুর গ্রামের অধির দাসের ছেলে বিকাশ দাস মাদক উদ্ধার এবং এই মামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর হাসেম আলী তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কপিরাইট © নিউজ বিডি জার্নালিষ্ট ২৪- ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সম্পাদক : মোঃ রাকিব হোসেন, বার্তা সম্পাদক: চম্পা বিশ্বাস, প্রকাশক: মুহাঃ মোশাররফ হোসেন,প্রধান উপদেষ্টা: মো: বেল্লাল হাওলাদার, সহযোগী সম্পাদক: মোঃ আল ইমরান, , 01550040372 E-mail: newsbdjournalist24@gmail.com