আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
৩দিন লিফটে আটকে থেকে মৃত্যু হলো ৩২ বছর বয়সী এক নারীর। ৬বছরের সন্তানের মা ওলগা লেওনতিয়েভা উজবেকিস্তানের তাসখন্দের বাসিন্দা। একটি গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে, একটি ৯তলা বাড়ির একেবারে উপরের তলায় লিফটে আটকে পড়েছিলেন ওলগা। তিনি বাঁচাও-বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও কারও কানে সেই আওয়াজ প্রবেশ করেনি। অতঃপর, সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
দু'দিন বাড়ি ফেরেননি। বাজছে না ফোনও। এ অবস্থায় গত ২৪শে জুলাই ওলগার মা-বাবা মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানান থানায়। শুরু হয় তল্লাশি। সেই সময়ই খবর পাওয়া যায় একটি বহুতলের লিফটের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে ওলগার নিথর দেহ।
জানা যায়, কোনও একটি কাজে ওই বিল্ডিংয়ের একেবারে উপরের তলায় গিয়েছিলেন ওলগা। নামার পথে লিফট আটকে যায়। তার পর থেকে টানা ৩দিন ওই লিফটেই আটকে পড়ে থাকেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, বার বার চিৎকার করে বাঁচানোর আবেদন করেছিলেন ওলগা। কিন্তু সেই চিৎকার কারও কানে ঢোকেনি।
জানা গিয়েছে, ওলগার একটি ৬ বছরের মেয়ে রয়েছে। তাকে আপাতত আত্মীয়দের কাছে রাখতে হয়েছে। কীভাবে ওলগা লিফটে আটকে পড়েছিলেন, তা খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা জানিয়েছে, এক মুহূর্তের জন্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি। ফলে বিদ্যুতের অভাবে লিফট আটকে যাওয়ারও কোনও কারণ নেই।
জানা যাচ্ছে, লিফটি তৈরি করেছে একটি চিনা সংস্থা। প্রাথমিকভাবে সরকারি ইঞ্জিনিয়াররা মনে করছেন, লিফটের অভ্যন্তররীণ গোলযোগের কারণেই তা মাঝপথে আটকে যায়। একই কথা বলছেন আশপাশের লোকজনও। তবে এর আগে এমন ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না কেউই। নির্মাণকারী সংস্থাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে ইতালিতেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে লিফটে আটকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৬১বছরের এক প্রৌঢ়ার। তবে তার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে লিফট আটকে পড়েছিল।
এম,আর,হোসেন নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪