এফ এম হাসান,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে কেরাম বোর্ডের গুটি চাওয়াকে কেন্দ্র করে যুবক হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২য় এর বিচারক ঝলক রায় এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মতিন মিয়া ,নুরুল হক,আনর আলী, আফতাব,সিরাজ আলী, মংলা মিয়া ও হেলাল।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড গোলাম মোস্তফা।আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে সড়কের পাশে একই গ্রামের মাসুক মিয়া ও হুশিয়ার আলীর ভুসিমালের দোকানের ব্যবসা ছিলো। ঘটনার দিন বিকেলে হুশিয়ার আলী মাসুক মিয়ার কাছে কেরাম খেলার জন্য বোর্ডের গুটি চায় কিন্তু মাসুক মিয়া গুটি না দেয়ায় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
এরই জেরে বিকেল ৫ টার দিকে হুশিয়ার আলী তার সহযোগী আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে মাসুক মিয়া ও তার স্বজনদের উপর হামলা চালায়।এসময় মাসুক মিয়ার চাচা জামাল উদ্দিন (উকিল আলী) আসামিরা তার বুকে সুলফি দিয়ে আঘাত করলে জামাল উদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে যাবার পথে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুর রউফ বাদি হয়ে ১৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালত ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং ২ জনকে ১ মাস করে আর আরো ৩ জনকে ৩ মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ৫ জন এজলাসে উপস্থিত ছিলেন বাকি মংলা ও হেলাল মিয়া পলাতক।