সাজ্জাদ তুহিন,নড়াইল প্রতিনিধিঃ

৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কে এগিয়ে নেওয়ার নির্বাচন। আর এই নির্বাচন উপলক্ষে সদর উপজেলার আগদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সদর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের আহবানে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট অচিন কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তির প্রধান অতিত্বে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।০৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে কলোড়া ইউনিয়নের আকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের মাঠে বিশাল জনসভার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা।এ-সময় বিশাল এ জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নড়াইল জেলা সাখার সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ নিজাম উদ্দীন খান নিলু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মাদ হারুনার রশীদ, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহামুদ তুফান ,কলোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আশীষ বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন মোল্লা প্রমুখ।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ প্রচারনার জনসভায় জনতার ঢল নামে। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম-গন্জের নেতা-কর্মীসহ আম জনতা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে জনসভাস্থলে জড়ো হতে থাকেন। বিকেল ৪টা বাজার আগেই মাঠ লোকে লোকাঅকারণ্য হয়ে যায়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় মাঠের পাশের গাছপালাসহ বাড়ির ছাদে উঠে নেতার বক্তব্য শোনেন।বিছালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ হিমায়েত হোসেন ফারুক ,সাবেক চেয়ারম্যান ইমারুল গাজী, কলোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশীষ বিশ্বাস, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুর রহমান হিটু, সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ, শেখহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলক বিশ্বাসের নেতৃত্বে জনসভায় বিশাল মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেন।পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবিরুল হক মুক্তি নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে বলেন,৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধা গ্রস্ত করতে মুক্তিযুদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এ দেশকে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে আবারো গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি আরও বলেন, দেশ ও জাতী গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। বাঙালী জাতীর অস্তিত্ব আজ হুমকীর মুখে। দেশকে রক্ষা করতে হলে ৭ তারিখে ভোটের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে হবে। মনে রাখবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ভালো থাকলে দেশ ও দেশের ১৮ কোটি মানুষ ভালো থাকবে।বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,বিএনপি-জামাত দেশের রাজনীতি ধারণ ও লালন করে না। যারা গোলাম আজমের মতো কুখ্যাত রাজাকারকে নাগরিকত্ব দিতে পারে,রাজাকারকে দেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী বানাতে পারে তারা দেশকে পাকিদের(পাকিস্তানী) হাতে বেচে দিতে পারে। এত ষড়যন্ত্রের পরেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের আজ রোল মডেল হয়েছে। বিএনপি-জামাতের সেটা সহ্য হচ্ছে না।তারা দেশকে মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারায় তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে বানচাল করতে দেশী-বিদেশী শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাদের হাত থেকে দেশের মানুষকে বাচাতে হলে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।