শিরোনাম:
শিরোনাম:
ভারত বাংলাদেশের মানুষকে ভালবাসে না ভালবাসে কোহিনুর খ্যাত স্বৈরাচার হাসিনাকে -রিজভী হাওড়ার গ্রামীণ এলাকা উদয় নারায়ণ পুর এলাকা জলের তলায় ত্রাণ বিতরণের কাজে পুলিশ বাহিনী ২ নং কিসমত গনকৈড় ইউনিয়নের অফিস উদ্বোধনে আব্দুস সবুর বুলেট যৌতুক লোভী স্বামী মারপিট করে গর্ভপাত ঘটিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে স্ত্রী কে আদালতে মামলা  পাইকগাছায় পার রামনাথপুরে দেড় শতাধিক মানুষ পানি বন্দি নেই ত্রান ও সাহায্য রামনগর ইউনিয়ন পরিষদে সুবিধাভোগীদেের মাঝে টিসিবি পণ্য বিতরণ   মনিপুরে সেনাবাহিনীর কনভয়ের উপর মাইন হামলা রক্ষা পেল ক্ষনিকের জন্য দেশ সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় ও সহযোগিতা করতে হবে রৌমারীতে রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির-শ্রীপুর উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নড়াইলে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকদের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহে বিএনপি’র সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা জেলা সমাবেশ সফল করতে কালীগঞ্জে বিএনপির প্রস্তুতি সমাবেশ  মাসিক আল মুনাদীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নড়াইল পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গ্রেফতার কালীগঞ্জে দূর্গা পূজা উপলক্ষে বিএনপির শাড়ী বিতরন প্রবল ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুর, উদ্ধারে জেলা পুলিশ স্মৃতির কাপ্তাই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত যশোরের ঢাকুরিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ ঝিনাইদহের নলডাঙ্গায় বিএনপি’র সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি সমাবেশ রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হল জামায়াতের সদস্য সম্মেলন  অপহরণ নয় প্রেমের টানেই ঘর ছেড়েছে হিন্দুধর্মাবলম্বী কিশোরী আদালতে জবানবন্দি  যশোরের মুক্তেশ্বরী নদীতে মাছ শিকারের মহোৎসব নড়াইলে দু পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি অফিস ভাংচুর দুইজন  আহত অভয়নগরে গভীর রাতে বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা নিহত ১ আহত ২ রাতের মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চালু হল প্রিন্ক প্রেট্রোল পটুয়াখালীর মহিপুর প্রেসক্লাব দখলের অভিযোগ থানা বিএনপির বিরুদ্ধে শ্রীপুরের সাচিলাপুর আবাসনে প্রায় হাজার মানুষের জনদুর্ভোগে ক্রমেই ভয়াবহ দেখার কেউ নেই 

হার না মানা রতন মিয়ার গল্প

উপজেলা / জেলা-প্রতিনিধি / ৫০ বার পড়া হয়েছে
সময় সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন

জাবির আহমেদ জিহাদ, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি ঃ

বর্তমান ছেলেটির বয়স ২৬,২৭ হবে হয়তো। বাহাদুরাবাদ নয়াগ্রাম মেইন রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনা ভর্তি একটি পুকুরে পাড়ে ছোট্ট এক জায়গায় বসবাস তার। ৫ ভাই, ১ বোন ও বাবা মা নিয়ে পরিবার। বড় তিন ভাই জীবন ও জীবীকার তাগিদে সারাবছর স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকে। অন্য এক ভাই ও সে বাড়িতে থাকেন।
ভাইদের মধ্যে সব ছোট সে।

ছোট বেলা থেকে সে প্রচুর পরিশ্রম করে, কখনো দিন মজুরির কাজ করেন,আবার কখনো অন্যের ভ্যেন গাড়ি চালিয়ে সংসার চালান। অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা মায়ের দেখার ভার পরে তার কাধে। এরই মধ্যে ছোট বোন কে বিয়ে দেয়। আর সে নিজেও বিয়ে করেন।

তার ৫ বছরের একটি মেয়ে, ও ১ মাস বয়সি ছোট্ট আরেকটি মেয়ে আছে তার ঘরে। যে মেয়েটি হয়তো তার বাবাকে একবার বাবা বলেও ডাকতে পারেনি। আর মেয়েটি বড় হয়ে মনেই রাখতে পারবেনা তার বাবা দেখতে কেমন ছিলো।

অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা মা ও পরিবার চালানো তার জন্য অনেক বেশি কষ্টের হয়ে দাড়িয়েছিলো। এলাকায় সমিতি থেকে সুদ ভিত্তিক কিস্তির উপর টাকা নিয়ে একটি নিজস্ব ভ্যেন গাড়ি কিনে সে। আর সেই ভ্যেন চালিয়ে পরিবার দেখছেন। গত কয়েকদিন যাবৎ খুব অসুস্থ হয়ে পরে সে। অসুস্থ অবস্থায় নিয়মিত ভ্যেন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়। কিন্তু অসুস্থতার পরিমাণ বাড়তি হওয়ায় সে আর বাইরে ভ্যেন নিয়ে বের হতে পারছিলো না।

এলাকায় পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে কিছু ঔষুধ নিয়ে খাওয়াচ্ছিলো তার বৃদ্ধ মা। কিন্তু দিন যত যাচ্ছিলো অসুস্থতার পরিমান বাড়তেই থাকে। তার মা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনেকের কাছে টাকা ঋণ চাই,কিন্তু পাইনি। এর পর সুধের উপর টাকা খুজে সে,তবুও না পেয়ে হাতে থাকা অল্প কিছু টাকা নিয়ে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেন মা।

হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা পরিক্ষা করার পর বুঝতে পারেন তার হার্টের বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই ডাক্তার তার মাকে বলেন রুগী যেন কোন ভারি কাজ না করেন,পূর্নাঙ্গ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। আর যত দ্রুত সম্ভব উন্নত্য চিকিৎসা করার জন্য বলেন।

কয়েকদিন হাসপাতালে থাকা অবস্থায় পাশে অসুস্থ মা ও স্ত্রী কে ছাড়া অন্য কাউকে পাইনি সে। কেউ তার খুজ নিতে যায়নি। টাকা না থাকায় বাধ্য হয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসেন সে। বাড়িতে এসে বসে থাকলে তার পরিবারের খাবার আসবে কোথা থেকে??

তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে বেড়িয়ে পরেন ভ্যান গাড়ি নিয়ে। চলতি পথে ঘন্টা খানিক পর তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পরেন। এর পর অন্যের সাহায্যে বাড়িতে ফিরে আসেন।
রাতে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে পরে,কিন্তু পরদিন সকালে সে আর শুয়া থেকে উঠতে পারেনি। চলে গেলেন না ফেরার দেশে অনন্তকালের জন্য।

এটা কাল্পনিক কোন গল্প নয়, বলছিলাম আমাদের সকলের পরিচিত সহজ সরল মনের মানুষ “রতন মিয়ার” জীবন কাহিনি।

খুবই কষ্ট লাগে আমরা এমন সমাজে বসবাস করি,যেখানে এমন হাজারো অসহায় রতন টাকার অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে পরপারে চলে যায়। অথচ সমাজে বিত্তবান সম্পদশালী অনেক মানুষ আছে যারা এসব অসহায় মানুষের কখনো একটু খুজও রাখে না।
ধিক্কার জানায় সেসব সম্পদশালী ব্যক্তিদের।

মহান আল্লাহ তায়া’লা রতন কে পরপারে জান্নাতে শান্তিতে রাখুন আর তার অসহায় পরিবারকে সাহায্য করুন ও ধৈয্য ধরার তাওফিক দিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একাধিক নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: Content is protected !!