তুহিনুর রহমান তালুকদার,স্টাফ রির্পোটারঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের দুই রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
একই সাথে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানার সাব- ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) লিটন রায় উক্ত মামলায় সুমনকে গ্রেফতার দেখানো ও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রার্থনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে প্রকাশ, গত ১৬ জুলাই বিকাল অনুমান সাড়ে চার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ব্যারিস্টার সুমনের পরোক্ষ হুকুমে ছাত্র জনতার উপর হামলা চালানো হয়।এতে কয়েকজন ছাত্র আহত হন।
এ ব্যাপারে গত ১১ নভেম্বর চুনারুঘাট যুবদলের আহবায়ক মো. নাছির উদ্দীন বাদি সুমনকে ১নং আসামি করে ৯৮ জনের নামে ও ৭০/৮০ জন অজ্ঞাতনকে আসামির করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঢাকায় দায়ের করা অপর হত্যা মামলায় আটক সুমনকে বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তুমুল হট্টগোলের মধ্যে সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে একই মামলার গ্রেফতার অপর আসামী চুনারুঘাট উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সামাদসহ তিন আসামির রিমানড মঞ্জুর না করে জেলগেটে জিজ্ঞেসাবাদের নির্দেশ দেন।
ব্যরিস্টার সুমনের আইনজীবি মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিথ্যা মামলায় সুমনকে জড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন- আমরা আদালতকে বলেছি ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
এই মামলায় ব্যরিস্টার সুমনের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। মামলায় বলা হয়েছে তিনি পরোক্ষাবে হুমকী দিয়েছেন। কিন্ত তিনি কার কাছে হুকুম দিয়েছেন, কিভাবে দিয়েছেন তার কোন সত্যতা নেই। মূলত তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
এর আগে ব্যরিস্টার সুমনকে আদালতে নিয়ে আসার সময় দুপুর ১টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গনে ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় নেতাকর্মীরা সুমনকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে ডিম ও ঢিল ছুড়ে।