হবিগঞ্জে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। ইতিমধ্যে অনেক বাসা-বাড়ি ও সড়ক থেকে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদ নদীর পানি। বন্যার পানি কমে যাওয়ায় অনেক লোকজন তাদের বাড়ি ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে উজান থেকে ঢলে আসা বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ভেসে উঠেছে সড়ক, বাড়ি ঘর সহ নানা স্থাপনার ক্ষত চিহ্ন।
হবিগঞ্জ জেলায় বড় ধরণের বন্যার অগ্রাসন না হলে ও যেসব নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে সেইসব অঞ্চল থেকে পানি নেমে যাওয়ায় রাস্তা ঘাঠ দেখা গিয়েছে ক্ষতচিহ্ন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন বাড়ি ফিরলে ও ভুগছেন সুপেয় পানি সংকটে। বন্যার কারণে ঘর বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় বিকল হয়ে গেছে টিউবওয়েল সহ গবীর নলকূপগুলো। যে কারণে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি হিসাবে গত দুই দিনে অন্তত ১০ হাজার বাড়ি ঘর থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। যদিও নিম্নাঞ্চলে পানি বন্দি রয়েছে আরো অন্তত কয়েক হাজার পরিবার।
বন্যায় কবলিত উপজেলাগুলো হলো হবিগঞ্জ সদর, চুনারুঘাট, মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ, নবীগঞ্জ এবং বাহুবল। গত ১দিনে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ১৮০ জন লোক নিজেদের বাড়ি ফিরেছেন। ৪টি আশ্রয় কেন্দ্র এখনো রয়েছেন ৫৪৮ জন মানুষ। বর্তমানে উপজেলায় ৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু রয়েছে। এদিকে বন্যায় কবলিত এলাকায় ৪৯ টি মেডিকেল টিমের মধ্যে মাঠে কাজ করচে ১৬ টিম।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হক জানান তাদের মেডিকেল টিম বন্যায় কবলিত এলাকায় কাজ করছে। খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন টেবলেট এবং সাপে কাটার ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমান বরাদ্দ আছে। টিমের সদস্যরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায় নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা – শমসেরগঞ্জ সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কের পুরো অংশজুড়েই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তে। এতে প্রতিনিয়ত ঘঠছে দুর্ঘটনা।
সড়কটি এখন মানুষ এর কাছে দুঃখ ও দুর্দশার অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এতে ভোগান্তিত পরছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। সড়কটি কয়েক দফা মাফজোক হলে ও সংস্কার না হওয়া ক্ষোভ স্থানীয়দের মাঝে জানা যায় হবিগঞ্জ মৌলভীবাজার জেলার যাতায়াতের সংযোগ সড়ক নবীগঞ্জের পানিউমদা – শমসেরগঞ্জ সড়ক।
এ সড়ক দুই জেলার লক্ষদিক মানুষের চলাচলের অবলম্বন। গত ৩/৪ বছর ধরে সড়কের সাড়ে চার কিলোমিটার অংশজুরে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তে।