তুহিনুর রহমান তালুকদার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জে নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন সেলিম কর্তৃক উক্ত বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন দাতা সদস্য মুহিবুর রহমানের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে গত শুক্রবার রাতে বাগাউড়া গ্রামের মুহিবুর রহমান বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করতে এসআই তৌহিদ হোসেনকে দায়িত্ব প্রধান করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মাসুক আলী।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পেয়ার আলী বিগত ২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মৃত্যু বরণ করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ৩ মাস দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে তারই স্থলাভিষিক্ত হন জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কামড়া খাইড় গ্রামের মৃত তছর উদ্দিনের পুত্র জসিম উদ্দিন সেলিম। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে আসলেও দেখার যেন কেউ নেই। প্রবাস থেকে অনুদানের লক্ষ লক্ষ টাকা আসলেও আয়-ব্যয়ের কোন হিসেব নেই। কারন বিদ্যালয়ে রয়েছে তার নিজস্ব লোক। খন্ডকালীন দাতা সদস্য মুহিবুর রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেন,তিনি বিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। গত ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১১টার সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন সেলিমের অফিস কক্ষে গিয়ে তিনি সকল দাতা সদস্যর তালিকাসহ প্রবাসীদের অনুদানের টাকার হিসেব দিতে বলেন।
এ সময় শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে মারমুখী আচরন করেন। পাশাপাশি অফিসের লোকজনকে ডাকতে থাকেন। এক পর্যায়ে মুহিবুর রহমানকে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন,যদি আর কোনদিন বিদ্যালয়ের টাকার হিসেব চাই,তাহলে তাকে বিদ্যালয়ে ডুকতে না দেয়াসহ মারপিট করে উচিত শিক্ষা দেয়া হবে। এ ঘটনায় মুহিবুর রহমান প্রতিবাদ করলে শিক্ষক ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে তাকে অপমান করে বের করে দেন। পরে তিনি এলাকার লোকজনের সহায়তায় বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আসেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।