মোঃ এমদাদুল হক,মনিরামপুর ঢাকুরিয়া প্রতিনিধিঃ
এক সময়কার জোয়ার ভাটার। স্রোতে কাপানো মুক্তেশ্বরী নদী যেন এখন কচুরিপানার নদী! নদীতে নেই কোন পানি প্রবাহ। কচুরিপানা আর আবর্জনায় ভরপুর নদীটি মৃতপ্রায় ! জানা যায়, মুক্তেশ্বরী নদী। মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া-হরিদাসকাটি-কুলটিয়া ইউনিয়ন হয়ে অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে টেকা-হরি নদীতে নিপতিত হয়েছে।
নদীটির বেশ কিছু স্থান এখন পানিশূন্য অবস্থায় থাকে। উজানের তুলনায় ভাটির দিক অধিক প্রশস্ত এবং ভাটিতে পানি প্রবাহের মাত্রাও উজানের তুলনায় বেশি। নদীটি জোয়ার ভাটার প্রভাবে নদীতে ভেসে আসা আবর্জনা ও কচুরিপানা বছরের পর বছর জমে স্তুপকৃত হয়ে নদীতে এখন সামান্য তিল ধারণের ঠাঁই পর্যন্ত নেই! নদীর অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়েছে এটি যেন কচুরিপানার নদী। এক সময়ের মুক্তেশ্বরী নদীর এমন বেহাল দশা থেকে পরিত্রাণের জন্য অচীরেই নদী থেকে কচুরিপানা অবসারনের জোরালো দাবী উঠেছে স্থানীয় জনগনের পক্ষ থেকে। নদীর।
এপার ওপার ঘুরে দেখা যায়, এক সময়কার স্রোতে কাপানো মুক্তেশ্বরী নদীতে এখন কোন পানি প্রবাহ নেই। আবর্জনা আর কচুরিপানায় ভরপুর নদীটি মৃতপ্রায়। নদীতে ভেসে আসা আবর্জনা ও কচুরিপানা পচে নদীর পানিতে দুর্গগ্ধ ছড়াচ্ছে। পচা কচুরিপানার দুর্গন্ধে নদীর পাড়ে বসবাস করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নদীর পানি পরিণত হয়েছে মশার প্রজনন ক্ষেত্রে। গত দুই/তিন যুগ ধরে এ নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কচুরিপানার জঞ্জালে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে মরে যাচ্ছে নদীটি। নদীর তীরবর্তি স্থানের মানুষের দাবি, দ্রুততম নদীর আবর্জনা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করা হোক। তা না হলে নদীর পরিবেশের যে ভারসাম্য তা নষ্ট হয়ে যাবে। নদী বাচাঁতে হলে নদী সংরক্ষণ করতে হবে এবং নদীর প্রণোচ্ছলতা ফিরে আনতে হবে।