নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পোশাক খাতের টেক্সটাইল ডাইং ও ওয়াশিং ব্যবসা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। কিন্তু শিল্প কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রণহীনতা ও পরিবেশ অধিদপ্তরে অলসতার কারণে পানি ও পরিবেশের দূষণ মাত্রা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
বিশেষত ওয়াশিং কারখানার বর্জ্য পানি দূষণ চরম আকার ধারণ করছে। পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ এবং তরল বর্জ্য পরিশোধনার (ইটিপি) নির্মাণ ছাড়া তরল বজ্র সরাসরি ড্রেনের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন খালে ফেলছে এর ফলে শুধু আশেপাশের এলাকায় নয় দূষিত হচ্ছে নদীর পানি তবুও দিনের পর দিন পরিচালিত হচ্ছে একাধিক ওয়াশিং কারখানা অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মের কোন তোয়াক্কাই করে না এমনকি তাদের (ইটিপি) স্থাপন করার মত কোন জায়গা নেই।
অন্যদিকে (ইটিপি) ব্যবহার না করে তরল বজ্র নিঃসরণ করা হলে ড্রেন বা খাল দিয়ে তা নদীতে মিশে যাচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ভয়াবহ রাজধানীর ডেমরা যাত্রাবাড়ী ক্ষতি ডেকে আনছে বলে মনে করছে পরিবেশ অধিদপ্তর স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রশাসনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরে বিভিন্ন কর্মকর্তাকে মাসিক চুক্তির মাধ্যমে চলছে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান। সন্ধান মিলেছে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা ভাঙ্গা প্রেস আলামিন ওয়াশিং কারখানা, ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইল এর কদমতলী এলাকায় লাক্স ওয়াশিং কারখানার, শ্যামপুর থানাধীন (২১৬ইস্ট) নামাশ্যামপুর জিয়া সরণী রোডস্থ টি এস ওয়াশিং কারখানা, মীরহাজিরবাগ বউ-বাজার ঢাকা ওয়াসিং কারখানা।
এসব কারখানার কাপড় ওয়াশ করার সময় যেসব কেমিক্যাল বর্জ্য বের হচ্ছে সেগুলো (ইটিপি) ব্যবহার না করার কারণে ক্ষতিকর তরল বজ্র নগরীর বিভিন্ন খালে গিয়ে নির্গত হচ্ছে। যার কারণে পরিবেশ ও জলজ এর ক্ষতিসাধন ও নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। কিছু কারখানা সাইনবোর্ড পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।এ ধরনের ছোট বড় কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, শিশু শ্রমসহ শ্রমিকদের বেতন বাজার মূল্যের চেয়ে কম দেওয়া হয়।পরিবেশ গবেষণাগারের কর্মকর্তা বলছেন, পোশাক খাতের ওয়াশিং টেক্সটাইল ডাইং ও অন্যান্য ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রির জন্য (ইটিপি) ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কারণ এ শিল্প গুলো থেকে যে তরল বর্জ্য নির্গত হয়, সেগুলো পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর।