রংপুর মিঠাপুকুর এলাকার
দূর্গামতি (কুঠি পাড়া) গ্রামের মোঃ আকাব্বর আলীর মেয়ে মোছাঃ মনিরা আক্তার শিলা (৩১) এর সহিত একই এলাকার দূর্গামতি (মধ্যেপাড়া) গ্রামের মোঃ ময়নুল হক এর ছেলের সাথে বিয়ে হয়। গত- ১৭/১০/২০২১ ইং তারিখে প্রথম বিবাহে দেনমোহর দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার্যে বিবাহ সম্পন্ন হয়। সংসার জীবন তিন বছর পর তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম হয়।
গত- ১৫/০৩/২৪ ইং তারিখে খোলা তালাক শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে উভয়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাবেক মেম্বার চেয়ারম্যানসহ আরোও অনেকের উপস্থিতে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহর পরিশোধ করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়। কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারো তালাক দেওয়া স্ত্রীরর সাঙ্গে দেখা করে ভুল শিকার করে বলেন আমাদের মেয়ে সন্তানের মুখ চেয়ে আবারও বিয়ের জন্য
মনিরা আক্তার শিলার বাবা মাকে প্রস্তাব দেন। বিয়েতে তারা রাজি নেই। বিয়ে ছাড়া সে বাড়িতে ফিরবেনা। তখন তার বাড়িতে খবর দিলে ওর বড় ভাইসহ আরো লোকজন এসে গত- ০৫/০৪/২৪ ইং তারিখে দ্বিতীয় বার মতো তালাক দেওয়া স্ত্রীকে আবারো বিয়ে পড়ান।
১৩ নং শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নে কাজী অফিসে গিয়ে দেনমোহর চার লাখ টাকা ধার্যে রেজিস্ট্রারী বিবাহ করেন মজিবুর রহমান লেবু। ভুক্তভোগী মোছাঃ মনিরা আক্তার শিলা জানান, কিছু দিন পর আমার কাছে যে, কাবিননামার দেনমোহরের আড়াই লাখ টাকা ছিলো। এবং আমার বাবার গরু বিক্রির এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা আমার কাছে ছিলো সেটিও কৌশলে ব্যবসার কথা বলে হাতিয়ে নেয়। এখন আমার সঙ্গে প্রতারণা করছেন। টাকা হাতে নেওয়ার পর থেকে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলবে এবং আমার সন্তানের ক্ষতি করবে। এবং মোবাইল ফোনে ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসতেছে। ভুক্তভোগী তিনি আররো জানান বিজ্ঞ মিঠাপুকুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আমার নামে মিথ্যা মামলা হয়।
১৬/১০/২৪ ইং তারিখে
সি .আর- ৩২৫/২৪।
মামলার তদন্তে ছিলেন সিআইডি কর্মরত পুলিশ।
ভুক্তভোগী জানান, আদালতে যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তা ৫০,০০০/- পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে একতরফা দাখিল করেছেন। যাহা ভিত্তিহিন মিথ্যা প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে তা সন্তোষজনক নয়। আমি সুষ্ট বিচার দাবি জানাচ্ছি। শালিস বৈঠকে মজিবুর রহমান লেবুর পরিবারের সম্মতিক্রমে মহিলা মেম্বার মোছাঃ লাভলী, মানিক মিয়া, শাহ আলম, শামিম, সবুর আলী, একরামুল, কাজী মাওঃ মোঃ আবেদ আলী, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, উভয় পক্ষের লোকজন ও চেয়ারম্যান মেম্বারগণের উপস্থিতে একই ব্যক্তির সাথে নতুন ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। জ্বোর করে কোন বিবাহ হয়নি। ভুক্তভোগী খুব গরীব ঘরের মেয়ে তার সাঙ্গে যেটা হচ্ছে তা মেনে নেওয়ার মতো নয়।
তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আর যে মামলাটি হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা ও বানোয়াট। কারন কাবিননামায় স্বাক্ষী যাহারা ছিলেন এখন তাদেরকে মামলার আসামি করা হয়েছে। এব্যাপারে ১৩ নং গোপালপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ মানিক মিয়ার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, মনিরা আক্তার শিলার বিয়ে হয় আমার এলাকার দুর্গামতি কাচলাড়া গ্রামের ময়নুল হক এর ছেলে মজিবুর রহমান লেবুর সাঙ্গে। তার সংসারে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।
সন্তানটির বয়স তিন বছর। প্রশাসন ঘটনাস্থলে না গিয়ে কি ভাবে আদালতে অভিযুক্তকারীর পক্ষে প্রতিবেদন একতরফা দেয়। আমাদের আইনের প্রতি বিশ্বাস আছে। আমি অনুরোধ করবো যে, ভুক্তভোগীর নামে যে মামলা হয়েছে তা পূর্ণরায় তদন্তে ঘটনা স্থলে গেলেই সত্যতা পাওয়া যাবে। আমি এর সঠিক ন্যায় বিচার দাবি জানাচ্ছি