এফ এম হাসান, সুনামগঞ্জ থেকেঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মো. ফয়সাল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ফয়সাল ইসলাম উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের সমর আলীর ছেলে। এ ঘটনার পরপর থেকেই ফয়সল ইসলামের স্ত্রীর কথিত প্রেমিক রবিউল ও তার বাবা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নিহত ফয়সাল ইসলামের স্ত্রী হালিমা আক্তার ছয় মাস ধরে সৌদি আরব প্রবাসে আছেন। দেশে রবিউল ইসলাম নামের এক প্রতিবেশীর সাথে হালিমা আক্তারের মোবাইল ফোনে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। ওই সর্ম্পকের জেরে ফয়সাল ও রবিউলের মধ্যে ঝগড়া-বিবাধ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে।
এব্যাপারে পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ ও স্থানীয় লোকজন একাধিকবার বিচার-সালিশ করেছেন। বিচার শালিশে রবিউলের কাছ থেকে মুচলেকাও আদায় করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার আগের রাতেও ফয়সলের স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কথা বলেন ফয়সল। এর পর রবিবার রাতে ফয়সল ও রবিউলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
গত সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে ফয়সাল তার প্রতিবেশী রবিউল ইসলামের ঘরের বারান্দায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দোয়ারাবাজার থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফয়সলের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে নিহত ফয়সাল আহমেদের মা আয়শা খাতুন জানিয়েছেন, তিনি সকালে ফজরের নামাজ শেষে ঘরের বাইরে যাওয়ার পর দেখেন রবিউলের বারান্দায় আমার ছেলের লাশ। তিনি আরো বলেন, আমার ধারনা আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।