সুনামগঞ্জে বিশ্ব শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে সমাপনী অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 1 year ago

সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান:

”শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি,ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি”এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে সমাপনী অনুষ্ঠানে সুবিধা বঞ্চিত-বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আলোচনা সভা,পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সুনামগঞ্জের আয়োজনে শহরের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় দেড় শতাধিক সুবিধা বঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু শিক্ষার্থীরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন।

সুনামগঞ্জ জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণের সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জ অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাফাত উল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেজাউল করিম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া,দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদক প্রকাশক বিজন সেন রায়,ওয়ার্ল্ড ভিশন এসির ম্যানেজার উত্তম চক্রবর্তী,ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের আব্দুল হামিদ ও উদীচীর সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম বলেছেন,আজকের শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। কাজেই এই শিশুটি গরীব,মেধাবী কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধী অস্বচ্ছল হোক বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল শিশুদের অধিকার সুরক্ষার জন্য সারাদেশে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি তাদের স্কুলগামি করতে বছরের প্রথমদিনে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বই দেয়া ও সকল ধরনের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং বিশ্বে এই দেশটি আজ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হচ্ছে। এই দেশে কোন মানুষ আজ গৃহহীন নেই ,না খেয়ে কোন মানুষ আজ থাকছে না। এই সরকার সকল ধর্মবর্ণের মানুষের সমধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলদেশ যেখানে ১৯৭১ সালে জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিটি ধর্মের মানুষ জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে ত্রিশলাখ মানুষ শহীদ হয়ে এবং দু”লাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই বাংলাদেশ বিশে^ একটি উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি উপস্থিত সকল অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান কোন শিশু তার বেচেঁ থাকার অধিকার থেকে যেন বঞ্চিত না হয় এজন্য তাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে সকল শিশুকে নিয়মিত স্কুলে পাঠানোর আহবান জানান। পরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সুবিধা বঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দরা। অবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।

error: Content is protected !!