আবদুল কাদির জীবন, সিলেট জেলা প্রতিনিধি :
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, লোক গবেষক ও রাজনীতিবিদ প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘শাহ আবদুল করিম বৈরাগ্যচর্চা করেননি। তিনি বাস্তববাদী গায়ক, সাধক ও মানবকল্যাণকামী। তিনি দ্রোহীও বটে। হাওরবাসীর অধিকারের প্রশ্নে তিনি মোটেও আপসকামী নন। তার রক্তে মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর এক অদম্য শক্তি সহজেই ধরা পড়ে।
তিনি আরো বলেন, শাহ আবদুল করিম ছিলেন দুখের মহাজন। তার ছিল তীব্র দুঃখবোধ। এ বোধের মূল হেতু হাওর অঞ্চলের মানুষের কষ্ট। তার সৃষ্টির গভীরতা ছিল, কিন্তু সরল প্রকাশ সাধারন মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠেছিল বলেই তিনি আজ বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্ব দরবারেও সামাদৃত।
তিনি গতকাল শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সন্ধা ৭.৩০ ঘটিকার সময় নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডস্থ পাঠাগারের কার্যালয়ে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম কে নিবেদিত সিলেট মোবাইল পাঠাগার (সিমোপা)’র ৮৩৪ তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সিলেট মোবাইল পাঠাগারের কার্যকরি পরিষদের সদস্য, হলিসিটি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াতের সভাপতিত্বে ও পাঠাগারের নির্বাহী সম্পাদক, প্রভাষক আবদুল কাদির জীবনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক, কবি দেওয়ান গাজী আব্দুল কুদ্দুস শমসাদ। সাহিত্য আসরে পঠিত লেখার উপর আলোচনা করেন ছড়াকার কবির আশরাফ, কলামিস্ট জুঁই ইসলাম।
মোবাইল পাঠাগারের নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে লেখাপাঠ করেন, ছড়াকার আতাউর রহমান বঙ্গী, শিল্পী বাহাউদ্দীন বাহার, প্রাবন্ধিক মুস্তাফিজ সৈয়দ, গীতিকার নুর মোহাম্মদ চৌধুরী মুবিন, গীতিকার সাজিদুর রহমান, কবি মকসুদ আহমদ লাল, কবি কামাল আহমদ, সাকিব আহমদ স্বাধীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাগ্রন্থ আল-কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন কবি ফতহুল করিম হাসান। বিজ্ঞপ্তি।