৭১ টিভির বকশিগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এবং বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম এর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিম সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া সংবাদকর্মী হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে যশোরের ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে সোমবার (১৯ জুন) সকাল ১১টায় এক মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবু। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের উপদেষ্টা আব্দুল জলিল, মোঃ ইসমাইল হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মহাসীন আলম, সহ সভাপতি তারিক মোহাম্মদ, রায়হান সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ এস এম জাফর ইকবাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সুজন মাহমুদ, সহ প্রচার সম্পাদক মিঠুন সরকার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, তথ্য সম্পাদক মিজানুর রহমান, সদস্য তৌহিদুর রহমান বিপ্লব, আওরঙ্গজেব, সুমন, দাউদ হোসেন, আলমগীর, সাদ্দাম, আঃ জব্বার, রেজোয়ান কবির, পিপুল হোসেন সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের নির্যাতন করে কিংবা হত্যা করে কেউ পার পাবেননা। হত্যা করে, নির্যাতন করে বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রাস্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠ রোধ করা যাবেনা। সাম্প্রতিক সময়ে গোলাম রব্বানী নাদিম সহ দেশে যে সকল সংবাদকর্মী এযাবৎকাল হত্যা এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। হত্যাকান্ডে জড়িত সকল হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দিতে হবে।
উল্লেখ্য গত বুধবার রাতে কাজ শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে বকশিগঞ্জ পাথাটিয়ায় পৌঁছালে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী তার উপর অতর্কিত হামলা করে। এরপর তাকে টেনে হেঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে এবং চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত ইট দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরপরই সারাদেশে সংবাদকর্মীরা নাদিম হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে ফুঁসে ওঠে। চেয়ারম্যান বাবু সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে তিনজন সংগী সহ র্যাব তাকে গ্রেফতার করে।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে এই আইনে দায়ের হওয়া সকল মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।