গোলাম রাব্বানী নাদিমকে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তাকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিচারের দাবিতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা। শনিবার সকাল ৯ টায় ভাঙ্গা থানার সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ আয়োজন করেন ভাঙ্গা প্রেসক্লাব।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল্লাহ শামীম ও সহসভাপতি মামুনুর রশিদ। সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে সকল সাংবাদিক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে দ্রুত বিচার চেয়ে বক্তব্য দেন- ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল্লাহ শামীম, সহসভাপতি মামুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম আসাদুজ্জামান মুন্সী, যুগ্ম সম্পাদক ইমরান মুন্সী প্রমূখ। বক্তারা নাদিম হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বাংলাদেশের সাংবাদিকরা। এছাড়া মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেন- ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক- সানোয়ার হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আলম মুন্সী, মাহমুদুল হক বাহার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, মাস্টার আখতারুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক
জাকারিয়া খান, দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান, চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মাহমুদুল হাসান,সাংবাদিক মাওঃ সাখাওয়াত হোসেন, জামাল উদ্দিন, রনি মিয়া, তরিকুল ইসলাম, শাহিন ইসলাম, হুমায়ুন কবির, সাগর মুন্সি সহ আরো অনেকে।
প্রসঙ্গত, হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক নাদিম গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশিগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০-১২ জন দুর্বৃত্তরা নাদিমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১২টার দিকে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নাদিম বকশিগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া গোমেরচর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।
যে কারণে খুন হলেন নাদিম-বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর অপকর্ম নিয়ে নিউজ করার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করেছেন নাদিমের স্বজনরা।
যদি মুল আসামী আগামী ৭দিনের ভেতর গ্রেফতার না হয় কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
এবং সাংবাদিক নির্যাতন দিনে দিনে বাড়ছে।শুধু মাত্র স্হানীয় প্রশাসনের
গাফলতির কারন।স্হানীয় প্রশাসন নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনা দেশের প্রায় অধিকাংশ থানা ও উপজেলা, প্রতিনিয়ত হচ্ছে।
সাংবাদিকদের কাজে নিয়মিত বাধা দিয়ে থাকেন স্হানীয় প্রশাসন।
এসব অসাধু ব্যেক্তি কর্মকর্তা নিজেদের স্বার্থে হাসিলের জন্য সাংবাদিকদের বিভিন্ন কৌশলে ফাঁসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।দেশের সকল সংবাদ মাধ্যম কে এক হতে হবে।মনে রাখবেন আপনিও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন।
দেশের সকল সাংবাদিকদের এক হওয়ার আহবান জানায় বক্তারা।