নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ৭ নং খেদাপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত জালালপুর গ্রামের জালালপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত জালালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা যায় নজরুল ইসলাম ও ফজিলা বেগম তারা স্বামী-স্ত্রী তারা হতদরিদ্র হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি অর্থায়নে নিজেদের বাসস্থান/সরকারি ঘর পেয়েছে মাত্র কয়েক মাস আগে। ঘটনা স্থলে সরেজমিন তদন্তে জানা যায় নজরুল ইসলাম ও ফজিলা বেগম তাদের বাসস্থানের সামনে থাকা বড় ধরনের একটি আম গাছ সরকারি নিয়মনিতী না জেনে তারা গাছটি কেটে বিক্রয় করে।৷ পরবর্তীতে উক্ত বিষয়টি খেদাপাড়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নায়েব মাহবুবুর রহমান বিষয়টি লোক মারুফাত জানতে পেরে। ঘটনাস্থলে এসে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে গাছটিকে মনিরামপুর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয় পৌঁছায় দিতে বলেন এবং নজরুল ইসলাম ও ফজিলা বেগম আইনানুগ দিক থেকে অজ্ঞ হওয়ায় তাদেরকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন,সরকারি কোন সম্পদ বন্ধন কর্তন ব্যক্তিমালিকানা করা আইনত অপরাধ। পরবর্তীতে নজরুল ইসলাম ও ফজিলা বেগম ০৬.০৭.২০২৩ রোজ বৃহস্পতিবার ট্রলি যোগে উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয় গাছের আগার অংশের লগ পৌঁছায় দেয় এবং গাছের গোড়ার অংশের পাকা আমের লগ অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জিন্নাহ ও জালালপুর গ্রামের স্বঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন এর পরামর্শে মনিরামপুর আকরাম মোড় সংলগ্ন মনসুরের স-মিলে কাঠ কাটানোর জন্য নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঐ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭:00 টার দিকে ট্রলি চালক নাজমুল আমের গোড়ার অংশের বড় লগসহ স-মিলে এ প্রতিনিধির ক্যামেরায় ধরা পড়েন । পরবর্তীতে ট্রলি চালক নাজমুল জানান এই আমের লগ চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ ও জালালপুর গ্রামের আমির আলীর পরামর্শে আমি চালক হিসাবে এই কাঠ স- মিলে নিয়ে আসছি এবং গাছের অন্য অংশ ভূমি অফিসে আছে। জালালপুর গ্রামের ট্রলি চালক নাজমুল আরো জানায় এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আরো বলে গাছের এ্যাসিল্যান্ড অফিসে আমার কথা হয়েছে কোন সমস্যা নেই। ট্রলিচালকের বক্তব্যের পর এ প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার ভূমি আলী হাসান এর মুটো ফোনে কথা বললে তিনি জানান আমার সাথে এ বিষয়ে কোন কথা হয়নি সরকারি গাছ সরকারি দপ্তরে আসবে। এ বিষয় কোন ছাড় দেওয়া হবে না।