জাবির আহম্মেদ জিহাদ (জামালপুর) প্রতিনিধি:
ক্লিন আপ বাংলাদেশের উদ্দ্যেগে সরকারি ইসলামপুর কলেজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।কলেজ মাঠ এবং তার আশেপাশে প্রায় অনেকদিন ধরে অপরিষ্কার। সেখানে গরুর নাদা,গাছের ডাল,অপ্রয়জনিয় নানা গাছে ভর্তি হয়েছে । কলেজ মাঠে গজিয়ে ওঠা অপ্রজনিয় উদ্ভিদ,কচুরিপানা দেখে যেন মনে হয় জলাভূমি। খেলার মাঠের এ বেহাল দশায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
বার বার আশার কথা শুনিয়েও কোনও উদ্যোগ নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।তবে কর্তৃপক্ষের আগেই এসব কচুরিপানা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে,ক্লিন অব বাংলাদেশ। বাস্তবায়ন করেছেে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কলেজ শাখা ।
রোববার (৫অক্টোবর) সরকারি ইসলামপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলান ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাওন সরকারের নেতৃত্বে শুরু হয় আগাছা দমনের কাজ।
সরকারি ইসলামপুর কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, থানা ছাত্রলীগের নেতা এবং কলেজ শিক্ষার্থী সহ অর্ধশত নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সরকারি ইসলামপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা অনেক ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। আমি মনে করি- দশের লাঠি, একের বোঝা। এই কলেজ মাঠের বেহালদশা আমার একার পক্ষেই সম্ভব ছিল সংস্কার করার। আমার প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগ ও কলেজ ছাত্রলীগ সহ ক্লিন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় সব নেতাকর্মী মিলে পরিশ্রম করে এই মাঠটিকে ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারবো।’
ছাত্রলীগের কলেজ সভাপতি শাওন সরকার বলেন, ‘ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা নিজেদের দায়িত্ববোধের মধ্যে পড়ে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের নিজ দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে না চাপিয়ে নিজেদের সেগুলো সম্পন্ন করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তাহলে সাধারণ মানুষ আমাদের সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করবে।
ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জানান, ‘ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারণ করে আগামী প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করা হবে।
সরকারি ইসলামপুর কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এস.এন হামিদুর রহমান জয় বলেন, আমার খুবই ভালো লেগেছে কলেজ পরিষ্কারের বিষয়টা।অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ছাত্রলীগের ভাইয়াদের।
এ বিষয়ে সরকারি ইসলামপুর কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান মিনাক্ষী প্রসাদ শাহা বলেন,ক্লিন অব বাংলাদেশের উদ্দেগ্যে ‘ছাত্রলীগের এ পরিষ্কার অভিযানের বাস্তবায়নে আমরা ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।’পুরো সময় আমি এবং আমার শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম।