জামালপুর প্রতিনিধি:
সরকারি ইসলামপুর কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অর্থ ভক্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা কলেজে মানববন্ধন করে আসছে।
সরকারি ইসলামপুর কলেজের সহকারী হিসাবরক্ষক তাসলিমা খাতুনের সাথে কলেজ অধ্যক্ষ ডক্টর আব্দুর রাজ্জাকের নারী কেলাংকারীর কথা ইসলামপুর জুড়ে অন্যরকম উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এ তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
এ বিষয়ে তাসলিমা খাতুনের ছোট বোন সানজিদা ইসলাম সম্পার বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো,আসসালামু আলাইকুম
আমি তাসলিমা আক্তারের ছোট বোন। আমার বোনকে নিয়ে করা ভিডিও নিশ্চয় দেখেছেন। তার সম্পর্কে অনেকে বাজে কথাও ছড়াচ্ছেন। কিন্তু কথা হলো তার সম্পর্কে যে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে তার কিন্তু কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি। ঘটনাটা হলো,,ইসলামপুর কলেজের বর্তমান প্রিন্সিপাল স্যারের পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। তারা কলেজের সবার( শিক্ষক + স্টাফ) স্বাক্ষর নেয় তাদের আন্দোলনে সমর্থন চেয়ে। তো সেখানে আমার বোন স্বাক্ষর করেনি। শুধুমাত্র সে স্বাক্ষর করেনি জন্য তাকে আটকে রাখা হয়। তার বিরুদ্ধে এটা ছাড়া আর কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। কিন্তু কিছু মানুষ হুট করেই তার সাথে প্রিন্সিপাল স্যারের অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। আর এটা খুব সম্ভবত কলেজেরই কেউ করেছে। এখন কথা হলো কাউকে আপনি পছন্দ না-ই করতে পারেন তাই বলে কি আপনি একজন মানুষের চরিত্র নিয়ে এতো জঘন্য কথা ছড়াতে পারেন?
সে যদি তার দায়িত্ব পালন না করতো, দায়িত্বের অপব্যবহার করতো আপনারা তার বিরুদ্ধে প্রমাণসহ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতেন। সে একজন হিসাবরক্ষক, সে ঠিক কি অন্যায়টা করতে পারে শিক্ষার্থীদের সাথে? আপনারা যারা তার চরিত্র নিয়ে কথা বলছেন তারা কি কোনো প্রমাণ পেয়েছেন বা কিছু দেখেছেন? কোনো কিছু যাচাই না করে একটা মানুষ সম্পর্কে এতো বড় অপবাদ দিলেন?
আমার বোন সাহসী একজন মানুষ। তাই আপনাদের নোংড়ামো তাকে দুর্বল করতে পারেনি। আপনারা যারা সেনসিবল মানুষ আছেন দয়া করে এসব সমর্থন করবেননা। নিজের বোন জন্য সাফাই গায়ছি বিষয়টা এমন না। আপনারা তার সম্পর্কে খোঁজ নিন, সত্য-মিথ্যা যাচাই করুন। আশাকরি আপনারা বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ।