লিটন সরকার,রৌমারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে উপজেলা ভূমি অফিস সামনে পতিত যায়গায় বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির আবাদ করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সারোয়ার রাব্বী। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিষমুক্ত সবজির বাগান করে সর্ব মহলের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। এই উদ্যোগের ফলে ভূমি অফিসের সদস্যদের খাবারের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৩শে মে) উপজেলা ভূমি অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না এমন নির্দেশনার পর সেই পরিত্যক্ত জায়গায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নির্দেশনায় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাদৎ হোসেন ও উপজেলা ভূমি অফিসের চেইন ম্যান এনামুল হক সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন। বড় পরিসরে না হলেও সীমিত পরিসরে গড়ে তোলা এই সবজি বাগানে রয়েছে টমেটো, লালশাক, পালংশাক, ডাটা শাক,করলা, মুলা, কালো বেগুন, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা জাতের সবজি রয়েছে এই বাগানে। কেউ যাতে বাগানের সবজি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য বাগানের চারপাশে দেয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া। ভূমি অফিসের উদ্যোগ ও উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় পরামর্শে বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট।
রৌমারী সদর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাদৎ হোসেন ও চেইন ম্যান এনামুল হক জানান, আমাদের সকলের একটু উদ্যোগী হওয়া উচিত। বাসাবাড়ির আশপাশের পরিত্যক্ত জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করা প্রয়োজন। এতে করে অনেক সময় পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে আয় করা যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী জানান, ভূমি অফিস চত্বরে সবজি চাষ এটা খুব ভালো উদ্যোগ। কৃষি অফিস থেকে সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। অনাবাদি পতিত জমি, অফিস চত্ত্বর ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগীতা করা হয়। ভূমি অফিসের এমন উদ্যোগ মানুষকে বাড়ির ঘরের সামনের পতিত জমিতে চাষাবাদে উৎসাহ জোগাবে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সারোয়ার রাব্বী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অনাবাদি পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতায় ভূমি অফিস কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগে বাগান করা হয়। এতে করে ফরমালিনমুক্ত শাক-সবজি খাবার খেতে পারবো। আমাদের সকলের এমন উদ্যোগী হওয়া উচিত।