মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোরের সতীঘাটা কামালপুর খরিচাডাঙ্গা স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহৃত লোহার বেঞ্চ চুরি অভিযোগ উঠেছে ।
গত শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে স্কুলে প্রধান শিক্ষক অভিনব কায়দায় এই বেঞ্চ বিক্রি করেন।
জানা যায়, রামনগর ইউনিয়নের কামালপুর খরিচাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয শনিবার বন্ধ থাকাবস্থায় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলী ৩ টি লোহার বেঞ্চ চুরির করে ১৩০০ শত টাকা কামালপুর গ্রামে বাংড়ী ব্যবসায়ী মিরাজের কাছে বিক্রি করেন।
এ ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি ঢাকতে না পেরে পরের দিন রবিবারের ঐ বেঞ্চ গুলি ভাংড়ী ব্যবসায়ী কাছ থেকে বিদ্যালয়ে ফেরত দেন। তবে বিদ্যালয় থেকে বেঞ্চ বিক্রির ঘটনাটি ম্যানেজিং কমিটি ও তার সহকারী শিক্ষকরা কিছুই জানেন না। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী বলেন, আমি গত শনিবারে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কালে আমি তিনটি বেঞ্চ বিক্রি করে দিই। পরে স্থানীয় জনগণের চাপে চুরি করা বিক্রি বেঞ্চ ব্যবসায়ীয় কাছ থেকে বিদ্যালয় এনে রাখি। এই ঘটনা স্থানীয়রা জানান শুধু স্কুলে বেঞ্চ নয় বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয় বিনামূল্যের বই, পরীক্ষার খাতাসহ আসবাবপত্র বিক্রি করার অভিযোগ ও রয়েছে।
তবে তিনি স্কুলের ক্লাস চলাকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন না করে বিবাহের ঘটকালী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতী করে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করে বিভিন্ন সময়ে জনগণের কাছে থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের এহেন কর্মকান্ডে কামালপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, সম্পাদক আবু সাঈদ এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের আসবাবপত্র প্রধান শিক্ষকের বিক্রয় করার এখতিয়ার আছে এবং বিক্রির লাগেনা কোন অনুমতি ও পারমিশন লাগে না। তার এমন অপকর্মে এলাকাবাসী ক্ষুব্দ।
ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ঘটনাটি প্রতিবাদ করতে গেলে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। সচেতন মহল ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।