নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি:
‘২০০৪ সালের ২১শে আগষ্টের সেই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিবস আজ। এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা ছিল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামীলীগের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত ছিল। হামলায় দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী-শীর্ষ নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছিল। ওই ঘটনা স্তব্ধ করে দিয়েছিল বাংলাদেশসহ সারা বিশ^বাসিকে। ভয়ঙ্কর গ্রেনেড সন্ত্রাসের মূল লক্ষ্য ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। সেই সাথে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দিয়ে দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। বিএনপি-জামায়াত জোট যখনই ক্ষমতায় আসে-তখনই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা করে।’
মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি)।
মণিরামপুর পৌরসভা চত্বরে সোমবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আলহাজ্জ্ব কাজী মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘২১ আগষ্টের ভয়াবহ সেই হামলা বাঙ্গালি জাতি কোনো দিনও ভুলবে না। ২০০৪ সালের পর থেকে তাই দিনটি ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস’ হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। অচিরেই ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের সাথে কুশিলবদের বিচারের সকল কার্যক্রম শেষ হবে এবং মামলায় রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে দেশ থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে বলে এদেশের মানুষ মনে করে। সুতরাং আমাদের সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, তরুণ আওয়ামীলীগনেতা ও যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি বশির আহমেদ খান, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম কামরুল, আওয়ামীলীগ নেতা তপন বিশ্বাস পবণ, মোন্তাজ বিশ্বাস, রুহুল আমিন, শামছুর রহমান, অজিত ঘোষ, আসিত মজুমদার রাম, মঞ্জুরুল আহসান সাজ্জাদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ, আওয়ামীলীগনেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ, আয়ুব গাজী, ইঞ্জি. আলমগীর হোসেন আলম, আলমগীর কবির লিটন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহবায়ক চিন্ময় বাবু, যুবলীগনেতা ও পৌর কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী, আজিম হোসেন, সুমন দাস, সাবেক ছাত্রলীগনেতা পলাশ ঘোষ, মিলন, প্রভাষক মামুন অর রশিদ জুয়েলসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।আলোচনা শেষে গ্রেনেড হামলায় নিহত নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।