নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
খুলনার বাগেরহাটে ষাট গম্বুজ মসজিদটি অবস্থিত এটি বিশ্ব ঐতিহ্যর সবচেয়ে বড় নিদর্শন। শীত মৌসুম আসার আগেই পর্যটকদের উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে। মুসলিম স্থাপত্যের এই অনন্য নিদর্শন দেখতে প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক আসছেন বাগেরহাটের ষাটগম্বুজে।
অন্যান্য দিনের তুলনায় ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে।
শনিবার ২২ই জুলাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এই স্থাপনায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।
কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে, কেউ পরিবারপরিজন নিয়ে, কেউবা একা এসেছেন বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ দেখতে। প্রায় সাড়ে ৬শ’ বছর আগে নির্মিত মসজিদ, মসজিদ চত্বরে থাকা যাদুঘর, বিভিন্ন রাইডস, প্রশস্ত সড়ক, নানা জাতের ফুল এবং মসজিদের পশ্চিম পাশের বিশালাকৃতির ঘোড়াদিঘী দেখে মুগ্ধ সবাই। দিঘীতে রং বেরঙ্গের নানা জাতের ফুল সহ পদ্মফুল দেখা যায়।
তবে সংখ্যা বেশি হওয়ায় দর্শনার্থীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শীত আসার আগ মুহূর্ত থেকেই ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রচুর দর্শনার্থী আসেন এই স্থানে। এছাড়া সারাবছরই কমবেশি দর্শনার্থী ষাটগম্বুজ পরিদর্শন করে থাকেন।
ঢাকা গাজিপুর থেকে শিক্ষা সফরে আসা আকাশ, রবি,রাফি সুমি জানান এতদিন বইয়ের পাতায় দেখেছি অথবা ইতিহাসের পাতায় জেনেছি খুলনা বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদের কথা আজ সেটি স্বচক্ষে দেখে খুব ভালো লাগছে এবং আমি আবারো পরবর্তীতে এখানে আসতে চাই আপনারা যারা দেখেননি এখনও আমরা মনে করি আপনাদের সবাইকে এই মসজিদ থেকে ঘুরে যাওয়া উচিৎ । এশিয়ার সর্ববৃহৎ সংগঠন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর যশোর জেলার সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মসজিদে এসে এখানে আসরের নামাজ পড়লাম এখন খুব ভালো লাগছে এবং আমি মসজিদের চতুর্থ পাঁচটা ঘুরে দেখলাম এছাড়া দিঘীটাতে বশে হালকা বাতাস গায়ে লাগিয়ে সারাদিনের ক্লান্তি ভাবটা অনেকটা কমে গেছে এবং মনে অন্যরকম একটা শান্তি অনুভূত করছি।
সি, বিশ্বাস/নিউজবিডিজার্নালিস্ট ২৪