“একা এক মা”
শ্রাবণ আহমেদ
যার কথা ভাবি
যার ছবি ভাসে
তারে ভোলা যায় না,
যার কথা হৃদয়ে
যার ছবি অন্তরে
সে তো আমার মা।।
সবই পেলাম আমি এক জীবনে
হারালাম কত প্রিয়জন
সময়ের স্রোতে চলেছি ভেসে
দু চোখে অশ্রু গোপন।
দূরে দূরে বহুদূরে একা
একলা জীবন
কাঁদে কাঁদে এ মন কাঁদে
ভাবি একলা যখন।
মেলে না হিসাব মেলে না
…………
মা যে বড় একা মা।
কত আয়োজন ছিলো
ছিলো কত গান
স্বপ্ন ছড়ানো ছিলো
আকাশ সমান
ভেঙেছে সাজানো সে ঘর,
আমার আমি আজ বড়
অসহায়, হয়েছে সবাই পর
নেই নেই কেউ নেই
মুখে আর হাসি নেই
এ ব্যাথা সয়ে পারি না
……..
মা, বড় একা যে মা।
দিন যায় রাত যায়
আমি ব্যাথা বয়ে যাই
হয়না মা’কে পাওয়া
গভীর সে রাত্রি, একা আমি যাত্রী
আনমনে মা’কে চাওয়া।
তবু তার কাছে যাবা হয় না
……. মা,
বড় একা যে মা।
জীবনের খেলাঘর এ যেন বালুচর
ভাবিনি কখনো ভাবিনি
অল্প সময়েই এতটা নিষ্ঠুর
হতে হবে তা তো বুঝিনি।
সব ফেলে মন চাই,
তার পানে ছুটে যাই
তবু যদি পাই গো ক্ষমা
মা, বড় একা আমার মা।
আমার এ অর্থ আমার এ চাকরি
সবই যে অর্থহীন
আমি যে ভালো খাই, আমি যে বেড়াই
ভাসে তার মুখটা মলিন।
আজ তাই হাসি না, কোন সুখ চাই না
হোক আমার জীবন অবসান
মা, বড় একা আজ মা।
সাহসী মানুষ হয়ে হয়তো একদিন
হয়ে যাবো আমি যাযাবর
খুঁজো না খুঁজো না, আমাকে পাবে না
চাই না এমন সংসার।
পারিনি পারিনি জোড়া দিতে
ভেঙে যাবা সুখী পরিবার
এই ছিলো কপালে বুঝিনি তা সকালে
এমনি নামবে আঁধার।
শত চেষ্টা শত প্রার্থনা
ভালো থেকো তুমি মা।
আমাকে ক্ষমা করো মা।।