যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া ও আশপাশের বাজার গুলাতে হঠাৎ করে বেড়েছে কাঁচা মাল সহ নৃত্যপণ্যের দাম।টানা বৃষ্টিতে দেশে অনেক সবজি ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় সবজির আড়তে কম পণ্য আসায় বাড়তি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে আরও কয়েক দিন পর দাম স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। এ সময়ে সবজির দামও অনেক গুন বেড়েছে। ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো,গাজর, শসা, করলা।
গত তিনদিন আগে বেগুনের কেজি ছিলো ৬০ টাকা সেটা বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা তেমনি পটল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা,ক্ষীরাই ৬০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা,কলা ৩৫ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা,রসুন ১৮০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২২০টাকা,পেঁয়াজ ১১০ থেকে বেড়ে ১২০ টাকা হয়েছে।তবে আলুর দাম স্থিতিশীল আছে।
রবিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বাগআঁচড়া এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ।
ক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টিকে পুজি করে বাজারের কিছু বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়েছেন। বৃষ্টি থেমে গেলে ও দাম কমার কোন খবর নাই।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে,জমিতে কাঁদা পানি জমে যাওয়ায় সবজি সংগ্রহ করতেও কষ্ট হচ্ছে এবং অনেক সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়া টানা বৃষ্টিতে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় সবজি বাজারে আসতে সময় লাগছে।
বাগআঁচড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা ফিরোজ বলেন, 'সাধারণত যেসব সবজি ২০ মণ আনি, সেগুলো এখন এনেছি ৭ মণ। টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে কাঁদা-পানি, সেজন্য সবজি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।
এদিকে, মুরগির বাজার কিছুটা নিম্নমুখী হলেও স্বস্তির খবর নেই ডিমের বাজারে। কেজিতে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩৪০-২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়।
চারিদিকে অথৈয় পানি থাকলে ও স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে কমার কথা থাকলে ও আগের মতোই মুল্যে বিক্রি হচ্ছে ।
বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৫০-২০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, চাষের শোল ৪০০ টাকা, চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা ও কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার তদারকির দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।
তারা বলছেন, নিয়মিত বাজার তদারকি করা হয় না তদারকি হলে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পেতো না।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নুসরাত ইয়াসমিন জানান,যেহেতু বৃষ্টি আর হচ্ছে না তাই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কোন সুযোগ নাই।
এ ব্যাপরে উপজেলা প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে তিনি জানান।