স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের শার্শায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী এক নারীর টর্চলাইটের আঘাতে দুই সন্তানের জননী জহুরা বেগম (৪২) নামে আর এক নারী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের নারিকেল বাড়ীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারী ঐ গ্রামের উত্তর পাড়ার আব্দুস ছালাম'র স্ত্রী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাভারণ সার্কেল এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান ও শার্শা থানার ওসি এসএম আকিকুল ইসলাম।
পুলিশ মৃতদেহের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রুবিনা বেগমকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রুহুল আমিন মৃধার বাড়িতে প্রতিবেশী আব্দুস ছালাম ও তার স্ত্রী জহুরা বেগম তার অসুস্থ্য বৌমার ঔষধ দেখাতে যান। এ সময় রুহুল আমিন মৃধার স্ত্রী রুবিনা বেগম (৩৫) তাদের বাড়ির পাশে নিজেদের পুকুরে আব্দুস ছালামের স্ত্রী জহুরা বেগমের (৪২) হাঁস যাওয়ার পূর্ব বিরোধের জের ধরে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি, কিলঘুষি ও কাপড় ধরে টানাটানির ঘটনা ঘটে।
এ সময় আব্দুস ছালাম তাদের দু'জনকে থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এক পর্যায়ে জহুরা তার স্বামীর কাছে থাকা টর্চলাইট নিয়ে রুবিনাকে আঘাত করেন। পরে রুবিনাও ক্ষিপ্ত হয়ে জহুরার হাত থেকে টর্চলাইট কেড়ে নিয়ে তার মাথা ও ঘাড়ে স্বজোরে কয়েকটি আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে জহুরার স্বামী ও স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম জানান স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত রুবিনা বেগমকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।