সোহেল রানাঃ
যশোরের শার্শায় নজরুল ইসলাম নজু (৫২) নামে একজনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে পরিবারসহ নানা জনের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শার্শা-ঝিকরগাছা সার্কেল এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান ও শার্শা থানা ওসি এসএম আকিকুল ইসলাম। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।সোমবার (১৪ আগস্ট ) উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের শালকোনা পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের মৃত ইছাহক মোন্ডল এর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকালে নজরুল ইসলাম নজু নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতে তিনি বাড়িতে ফিরে না আসাই তার পরিবারের সদস্যরা আশেপাশে ও পরিচিতি কয়েকজনের নিকট খোঁজ খবর নিলে তার কোন সন্ধান পাননি। পরে সোমবার ভোর সকালে শালকোনা পশ্চিমপাড়া গ্রামের নজুর বাড়ির পাশে মৃত জোনাব আলীর ছেলে জসিম উদ্দিনের গোয়াল ঘরে স্থানীয় একটি শিশু পাকা তাল কুড়াতে গেলে নজুকে পড়ে থাকতে দেখে লোকজনকে জানাই।
পরে তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা গোয়াল ঘরে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং সবাই সেখান থেকে তার মৃতদেহ নিজ বাড়িতে নেন। মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় স্থানীয়রা থানা পুলিশ কে অবহিত করলে নাভারণ সার্কেল (এএসপি) নিশাত আল নাহিয়ান ও শার্শা থানা পুলিশের (ওসি) এসএম আকিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরোতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে থানায় নেয়া হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যদের কারোর বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পোস্ট মর্টেম ছাড়াই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পুলিশের নিকট দাফন করার দাবি জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে স্থানীয়দের নিকট থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়ায় থানা পুলিশ মরদেহ থানায় নেয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়,সিমান্ত এলাকা হওয়ায় অবৈধ কর্মকাণ্ড জনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ইতিপূর্বে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন।
সূত্র আরো জানায়, তিনি মৃত্যুর পূর্বে জুয়া খেলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেখান থেকেও কোন ঘটনার জের ধরে কোন ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, ঘটনার আগের দিন বিকালে নজু বুকে ব্যথা অনুভব করলে তার গ্রামের বাসিন্দা পাকশিয়া বাজারের পল্লি চিকিৎসক মাসুদের নিকট চিকিৎসার জন্য যান।
এ বিষয়ে পল্লি চিকিৎসক মাসুদ জানান,নজু আমার নিকট বুকে ব্যথা জনিত সমস্যা নিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার নিকট চিকিৎসার কোন টাকা না থাকায় তাকে কোন ঔষধ দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে নাভারণ সার্কেল (এএসপি) নিশাত আল নাহিয়ান বলেন,আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তার পরিবারের কিছু সন্দেহ আছে, তাকে কেউ মেরে ফেলতে পারে। তবে লাশ দেখে আমাদের ওই রকম সন্দেহ হয় নাই। তারপরও আমরা কোন ঝুকি নিতে চাই নাই।যদি কেউ মেরে থাকে অথবা কিভাবে মারা গেছে হাট এ্যাটাক করছেন কিনা।এটা পোস্ট মোর্টেম করার জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসলে বলতে পারবো আসলে ওনি কিভাবে মারা গেছে।