লিটন সরকার,রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৬ বছর বয়সের শিশু রাবেয়া খাতুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মর্জিনা খাতুনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২০১৩ সালে রাবেয়াকে হত্যা করা হয়। এর একযুগ পর বৃহস্পতিবার বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের গোপড়ি কুড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার মর্জিনা খাতুন রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসুলপুর গুচ্ছগ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জর কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের গোপড়ি কুড়া এলাকার মঞ্জিলের তৃতীয় স্ত্রী তিনি।আজ শুক্রবার বিকেলে রৌমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া জানান, ২০১৩ সালে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসুলপুর গুচ্ছগ্রামের আছিয়াল হকের ছয় বছর বয়সের শিশু সন্তান রাবেয়া খাতুনের কানের এক জোড়া স্বর্ণের দুলের লোভে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ওই সময় অন্যত্র পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরে খবর পেয়ে পাটক্ষেত থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই সময় রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে পালিয়ে ছিলেন আসামি মর্জিনা খাতুন।
দীর্ঘ এক যুগ পর বৃহস্পতিবার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মর্জিনার তৃতীয় স্বামী মঞ্জিলের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ীর গোপড়ি কুড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, হত্যা মামলার আসামি মর্জিনা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়।